চ্যানেল হিন্দুস্থান, বিনোদন ডেস্ক-
টলিউডের চারদিকে নাকি উড়ছে দুর্নীতির টাকা! ৯ মার্চ প্রথম ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে। রীতিমতো দফায় দফায় জেরা করা হয় অভিনেতাকে। উঠে আসছে টলিউডের আরও চার অভিনেত্রীর নাম। এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ জেলবন্দই। তাঁর সঙ্গেই নাকি ঘনিষ্ঠতা টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। কুন্তলের সঙ্গে পরিচয় ছিল এনারও। তারা কাজও করেছেন একসাথে।
সেই সময় অবশ্য কুন্তল ছিলেন নব্য প্রযোজক। কী ভাবে যোগাযোগ হল এনা-কুন্তলের? কবে থেকেই বা পরিচিত তাঁরা একে অপরের? প্রযোজক কুন্তলের জন্য পর পর দুটি কাজ করেন এনা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমার সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই কুন্তলের। মাত্র দুটো কাজ করেছি। কাজের সূত্রে আলাপ হয়েছিল। চার বছর আগে শেষ দেখা হয়েছে।’’
এনা আরো জানান, ‘‘হ্যাঁ কুন্তলকে চিনি। কাজ করেছি ওঁর ইউটিউব চ্যানেল নবকথা ইনিশিয়েটিভের জন্য একটি মিউজিক ভিডিয়োতে কাজ করি। প্রায় চার বছর আগের কথা।’’ এই মিউজিক ভিডিয়োতে এনার সঙ্গে দেখা গিয়েছে অভিনেতা প্রসূন গায়েনকে। তবে এনার সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় করি দিয়েছিলেন প্রসূনই, জানান অভিনেত্রী। এনার কথায়, ‘‘এই ভিডিয়োর জন্য যে টাকা চেয়েছিলাম, তাই পেয়েছিলাম সেই কারণেই রাজি হই।’’ কিন্তু এই মুহূর্তে জল যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে কী ভয় পাচ্ছেন এনা? তাঁর সাফ কথা, ‘‘আমি কিছু ভুল করিনি, ভয় পাব কেন?’’
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি প্রযোজক এনা। তাঁর প্রযোজিত প্রথম ছবি ছিল ‘এসওএস কলকাতা’ ও ‘চিনে বাদাম’। ‘এসওএস কলকাতা’য় ছিলেন মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান ও যশ দাশগুপ্ত। ‘চিনে বাদাম’ ছবিতে যশের সঙ্গে জুটি বাঁধেন এনাই। যদিও ছবিটার নিয়ে জটিলতা দেখা যায় মুক্তি আগে। এই ছবির পাশ থেকে সড়ে যান যশ। তবে এনার কথায়, ‘‘তাঁর প্রযোজনা সংস্থায় সঙ্গে কুন্তলের কোনও যোগ নেই।’’