মধুমন্তী :
কোনও মেয়ে মাসে চারদিন তো কোনও মেয়ে এক সপ্তাহ সহ্য করে ‘এর’ যন্ত্রণা। এটা কি? পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব। যে-শব্দটা বলতে গেলেই নিজের অজান্তেই গলার স্বর খানিক নিচু হয়ে আসে বা কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ফিসফিসিয়ে বলতে হয় ‘পিরিয়ড’। যেখানে একুশ শতকের ব্যস্ত সময়ে মেয়েরা সমান দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বাড়ির বাইরে, সেখানে পিরিয়ডের প্রথম দিনটার অসহ্য যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গিয়েও লজ্জায় সে কথা চেপে রাখছেন কোনও মহিলা কর্মচারী। কারণ, পিরিয়ডের জন্য প্রতি মাসে একটি করে ছুটি বরাদ্দ করতে নারাজ অফিস কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু কীসের লজ্জা কিসের ট্যাবু! এবার এ এক অভিনব প্রয়াস। রক্ষণশীলতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মুম্বইয়ের দুই কোম্পানি ‘কালচার মেশিন’ (মিডিয়া কোম্পানি) এবং ‘গোজুপ’ প্রতি মাসে পিরিয়ডের জন্য একটি দিন ছুটি বরাদ্দ করল সেই অফিসের মহিলা কর্মচারীদের জন্য। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফার্স্ট ডে অফ পিরিয়ড’। যে-ছুটির জন্য একটা টাকাও কাটবে না অফিস কর্তৃপক্ষ।
কালচার মেশিন-এ কাজ করেন প্রায় ৭৫ জন মহিলা কর্মচারী। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত, জানালেন কোম্পানির এইচ আর ডি প্রেসিডেন্ট দেবলীনা এস মজুমদার। তিনি আরও জানান, “পিরিয়ডের প্রথম দিনটি খুবই অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক। আর এবার সময় এসেছে সত্যিটাকে সামনে আনার। এটা কোনও লজ্জার নয় বরং জীবনের একটা অংশ।”
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই চালু হয়েছে এই ছুটি। শুধু তাই নয়, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রকের কাছেও একটি পিটিশন দাখিল করেছে এই কোম্পানি, যাতে করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই ছুটি চালু হয়।
এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই এই ছুটি চালু আছে। ২০১৭-র শুরুর দিকে ইতালিতে প্রথম চালু হয় ‘পেড মেন্সসুরেশন লিভ’।
কালচার মেশিনের তরফে প্রকাশ করা হয় একটি ভিডিয়ো।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন