দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
মুকুল রায় তাঁর আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে অভিষেক এই রাজ্য ছেড়ে চলে যাবেন তো!
প্রশ্ন মুকুল মহলের। অভিষেক মঙ্গলবারেই বলেছেন মুকুল প্রমাণ দিন নইলে বাংলা ছাড়ুন। অভিষেকের এই বক্তব্যের উত্তরে এদিন এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুকুল-ঘনিষ্ঠরা। অভিষেক বলেছেন, মুকুল যদি সত্যি হন তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। মুকুল-মহলের অভিমত, “তিনি রাজনীতি করলেন কোথায়! অসংখ্য তৃণমূলকর্মীর ঘাম-রক্ত দিয়ে তৈরি ময়ুর সিংহাসনে তিনি তাঁর পিসিমার হাত ধরে বসেছেন। অনুগামী নয়, কিছু স্তাবক জোগাড় করেছেন। রাজনীতির উনি জানেন কী! বোঝেনই বা কী!” তবে সত্যি কী তাই! একেবারেই কী বোঝেন না! এক্ষেত্রে রাজনীতির খেলোয়াড়রা দ্বিধাবিভক্ত। কেউ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের নিজের ট্যাঁকে গুঁজে রাখতে পারেন। তিনি জানেন এই রক্তের সম্পর্কই তাঁর ইউএসপি। আবার একপ্রকার হাততালি কুড়োন বক্তৃতাও তিনি জানেন। যেমন দু’দিন আগে তিনি ভদ্রশ্বরে গিয়ে বলে এসেছেন, মনোজের খুনীর যাতে ফাঁসি হয় সে ব্যপারে উদ্যেগ নেবেন তিনি। সে যাই হোক। এদিন তাঁর মামলা করার ঘটনাতেও অনেকে রাজনীতি দেখছেন, আবার অনেকে বলছেন ঠিক উল্টো। কেউ বলছেন, অভিষেক মামলা করে বোকামি করেছেন। কারণ এই মামলা চলবে বহু বছর ধরে। ততদিনে আরও কতগুলো নতুন ইস্যু সামনে অাসবে তার ঠিক নেই! আবার কারও মতে, মুকুলের অভিযোগ একেবারে তৃণমূলের মর্মে ‘পশিয়াছে!’ দলের কর্মী-সমর্থকদের বিশ্বাসের গোড়ায় টান দিয়েছেন মুকুল। সেই কারণে নিজের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে মামলা করাই সহজ পথ। মামলা চলবে বহুদিন। ততদিন ‘অক্সিজেন’পাওয়া যাবে আর মানুষও আগ্রহ হারাবে।
মুকুল-মহল অবশ্য নাছোড়। মুকুল নিজে এদিন এই সম্পর্কে বাড়তি কথা বলেননি। অভিষেক তাঁর পুত্রসম। তিনি অভিষেককে অপরিণত বলেছেন। আবার একই নিশ্বাসে বলেছেন যে অভিষেকও একদিন পরিণত রাজনীতিক হবে। তাঁর অনুগামীরা অবশ্য একেবারেই নরম হননি। তাঁদের দাবি, অভিষেককে বলতে হবে তিনি মামলায় হেরে গেলে রাজ্য ছেড়ে যাবেন কি না! তাঁদের বক্তব্য, “নইলে বুঝব তৃণমূলের এই নেতা ক্ষমতার দম্ভে রাজ্যটিকে নিজের জমিদারি মনে করছেন! ”
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan