দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
সংখ্যালঘুদের মন পেতে তৃণমূল কংগ্রেস ঘটা করে সংহতি দিবস পালন করল আজ। কিন্তু করলে কী হবে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের একাংশ এখন বেজায় চটেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ওপর।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে ‘বাড়াবাড়ি’ খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষ করে কোবিন্দ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, আগে চিনতে পারিনি… ইত্যাদি, মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না তাঁরা। রামনাথ কোবিন্দের সঙ্ঘের পুরনো সংযোগই তাঁদের আপত্তির মূল কারণ। অতি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা রাষ্ট্রপতির সঙ্ঘের যোগ অনেক পুরনো। এমনকি কোবিন্দ তাঁর বাসভবনটিও দান করেছেন আরএসএসকে। এখনও পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ মুসলিমের মত রাজ্যের মুসলিমরাও মনে করেন সঙ্ঘ মুসলিমদের শত্রু। আর মমতার মত নেতা-নেত্রীরা তাঁদের মধ্যে এই ধারণাটি জিইয়ে রাখতে চান। রাজনীতির অঙ্কে এই হিসেবেই তাদের লাভ।
তবে আরএসএসকে সংখ্যালঘুদের চোখে ভিলেন বানিয়ে রাখার কৌশল এবার বুমেরাং হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। একজন আরএসএস মনস্ক মানুষের সঙ্গে কিসের এত আন্তরিকতা মুখ্যমন্ত্রীর? প্রশ্ন তুলছেন সুন্নাত আল জায়ামাতের সভাপতি আবদুল মাতিন। তাঁদের বক্তব্য মাননীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য, তাঁর পদমর্যাদাকে সম্মান কিংবা তাঁকে রাজ্যের অভ্যর্থনা, সবই ঠিক আছে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যেরকম ভাবে সংবর্ধনা মঞ্চে নিজেকে পেশ করলেন তা ভাল লাগেনি আবদুল মতিনদের। মতিন কোনও রাখঢাক না করেই বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাড়াবাড়ি করেছেন।” মতিনের মত সকলে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, ব্যক্তিগত আলোচনায় তাঁরা নিজেদের মনোভাব গোপন করছেন না। মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে যে ছবি উপহার দিয়েছেন, সেই ছবির রঙের ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বলেছেন, ছবিতে সবুজ আর গেরুায়ার মিশ্রন ঘটিয়ে কোন বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী!
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan