Breaking News
Home / TRENDING / গদ্দারের পাল্টা রত্নাকর! নাম না করে মমতাকে রত্নাকর বলছে মুকুল মহল কিন্তু কেন?

গদ্দারের পাল্টা রত্নাকর! নাম না করে মমতাকে রত্নাকর বলছে মুকুল মহল কিন্তু কেন?

দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :  

মুকুলের নাম না করে মমতা এখন তাঁকে গদ্দার বলা শুরু করেছেন। শুক্রবার হাওড়ার ডুমুরজলাতেও বলেছেন, বেইমান, গদ্দার ইত্যাদি। অবশ্য নাম না করেই বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “দলে একটা গদ্দার ছিল। আমি ভাবিনি ও এত বড় গদ্দার! অনেককে ফোন করছে, বলছে চলে এসো অনেক টাকা পাবে। এতবড় চোর আমি জানতাম না! বেইমানরা গেছে দল বেঁচে গেছে। ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।” দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী পরোক্ষে স্বীকার করেছিলেন যে ত্রিপুরার রাজনীতিতে মুকুল রায় তৃণমূলের ক্ষতিসাধন করেছেন। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুকুল কোনও রকম সাফাই দেওয়ার রাস্তায় তো যানই নি বরং বুঝিয়েছেন আরও ক্ষতি হবে তৃণমূলের। বলেছেন, সময়ের অপেক্ষা তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা হারাবে। রাজ্য রাজনীতিতে একটি ব্যাপার ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে মমতার ক্ষতি মানেই মুকুলের লাভ আর মুকুলের ক্ষতি মানে লাভ মমতার।
অভিজ্ঞ রাজনীতিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুলকে বেইমান-গদ্দার বলা শুরু করে সাধারণ মানুষ ও দলীয় কর্মীদের কাছে এমনকি বিজেপি নেতৃত্বের কাছেও মুকুল যে বিশ্বাসযোগ্য নয় এমন বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন। দেগে দেওয়ার রাজনীতি শুধু তৃণমূলে কেন কোনও রাজনৈতিক দলের কাছেই নতুন কিছু নয়। পোড় খাওয়া তৃণমূল নেত্রী এখন সেই দেগে দেওয়ার অস্ত্রই ব্যবহার করছেন মুকুলের বিরুদ্ধে।
মুকুলও অবশ্য তাঁর একদা নেত্রীর রাজনীতির ধরণ খুব ভালভাবেই বোঝেন। মমতার এই ‘বেইমান’ বক্তব্যের পাল্টা কিছু তিনি নিজে এখনও বলেননি ঠিকই তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল বলতে শুরু করেছে। বেইমান বা গদ্দারের পাল্টা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁরা বলছেন ‘রত্নাকর।’ প্রশ্ন হল রত্নাকর কেন? মুকুল মহল শোনাচ্ছে রামায়নের গল্প। রামায়ন রচয়িতার জীবনের গল্পও বটে।
দস্যু রত্নাকরকে এক সাধু বললেন, রত্নাকর তোমার পাপের ভাগ কি তোমার আত্মীয় পরিজন নেবে? রত্নাকর বললেন, নিশ্চয়ই নেবে। সাধু বললেন যাও ওঁদের জিজ্ঞাসা করে এস। রত্নাকর জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে অবাক হলেন। দেখলেন তাঁর বাবা, মা, স্ত্রী কেউই তাঁর পাপের ভাগ নিতে চাইল না।
এই গল্প শুনিয়ে মুকুলের ঘনিষ্ঠ মহল ইঙ্গিত করতে চাইছে আর্থিক কেলেঙ্কারির যে অভিযোগ নিয়ে চর্চা চলছে তার দায় একমাত্র মমতার। একথা একটি শিশুও সম্ভবত বুঝতে পারবে!
আর্থিক কেলেঙ্কারির যে অভিযোগ, সেখানে কে দায়ী আর কে নয় সবই বলবে সময়। তবে আপাতত গদ্দারের পাল্টা রত্নাকর!
মুকুল অনুগামীরা বলছেন, কোনওদিন কেউ নেয় নি রত্নাকরের পাপের ভাগ। রত্নাকরের পাপের ভাগ কেউ নেয় না!

 

বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

https://www.youtube.com/channelhindustan

https://www.facebook.com/channelhindustan

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *