দেবক বন্দ্যোপাধ্যায় :
রাজকোষ হতে চুরি!
ধ’রে আন চোর।
নহিলে নগরপাল,
রক্ষা নাহি তোর।
রবীন্দ্রনাথ লিখে গেছিলেন সেই কবে! হলে কী হবে! সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে যে! তাই বলে মমতার ঘরে সিঁধ কাটবেন মুকুল! তাঁর তোরঙ্গ ভেঙ্গে, সিন্দুক হাতড়ে বার করে আনবেন তাঁর বহু সাধনার ধন! তাঁর গোছানো সম্পদ!
শুনলে অবাক লাগলে কী হবে! এমনটাই হয়েছে। এমন আপাত অসম্ভব কাণ্ড ঘটিয়েছেন মুকুল। আশ্চর্যের ওপর আরও আশ্চর্য এমন চুরির পরেও মমতার পাইক-বরকন্দাজ স্বান্ত্রী-সেপাই কিচ্ছুটি করতে পারছেন না। মুকুল দিনের পর দিন ফাঁকা করে দিচ্ছেন মমতার সিন্দুক। শুধু ফাঁকাই করছেন না। রীতিমত বুক বাজিয়ে বলছেনও সে কথা।
ঠিক যেমন মঙ্গলবার চুঁচুড়ার মাঠে দাঁড়িয়ে, মাঠভর্তি লোকের সামনে বললেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই সভা করেন, সেখানেই নিয়ম করে বলেন, দলের কর্মীরা আমার সম্পদ। কর্মীরা আছেন বলেই দল আছে। মমতার এই কর্মী-সম্পদ ব্যাঙ্ক এখন নিয়ম করে লুঠ করছেন মুকুল। বুক বাজিয়ে বলছেন, ” যতই আমার পিছনে গোয়েন্দা লাগাও তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগের কিনারা করতে পারবে না।” তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করছেন।
এদিন চুঁচুড়ায় ১০০০ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন। এই ছবি এখন প্রায় রোজই দেখা যাচ্ছে। মুকুল যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই ঢল নামছে মানুষের। হিড়িক পড়ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার।
সিন্দুক ফাঁকা করে মমতার ‘সম্পদে’ চক্ষুদান করছেন মুকুল। সোজা কথায় কর্মী চুরি করছেন মুকুল। যোগ দেওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত জানতে পারছে না নেতৃত্ব।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan