ঈষাণিকা ভোরাই
এই মুহূর্তে এরাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যা অবস্থা তাতে আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে খুব একটা চিন্তাই নেই তৃণমূল নেতৃত্ব। দু-একটা জেলায় বিজেপি কিছুটা বেগ দিলেও সার্বিকভাবে জেলা পরিষদ দখলের ব্যাপারে তৃণমূলই যে কয়েক ক্রোশ এগিয়ে থাকবে সে কথা বলাই যায়। ফলে দলের নজর এখন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী দল ক্ষমতায় আসবে বলে আশার সঞ্চার হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের মনে। তাইতো শিলিগুড়িতে তৃণমূল নেত্রীর ঘোষণা “আগামী দিন ভারতবর্ষের বুকে তৃণমূল একটা বড় ভূমিকা পালন করবে”। মমতা এদিন আরো ইঙ্গিত দিয়ে বলেন “২০১৯ এ বাংলাই ভারতকে পথ দেখাবে”। ইঙ্গিতেই পরিষ্কার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে সবকটি আসন নিয়ে দিল্লি পৌঁছতে পারলে এবং বিজেপির ফলাফল যদি খারাপ হয় তাহলে King Maker এর ভূমিকায় পৌঁছে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। তেমন হলে প্রধানমন্ত্রীর আসনটিও হয়তো অধরা থাকবে না। তাইতো তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সী শিলিগুড়ির এই ২৫ হাজারি ভিড়ের সামনে দাঁড়িয়ে আহ্বান জানালেন, “বাংলার রাজনীতি থেকে দিল্লির মসনদে পৌঁছে দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে”। ২০১৯ এ রাজ্যে ৪২ এ ৪২ করতে হলে আবার আন্দোলনের পথে ফিরে যেতে হবে। ২০১৯ এ ক্ষমতায় আসার পর সেখানে কিছুটা মরচে পড়েছে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব ধারণা। তাইতো তৃণমূলনেত্রী বিজেপি ও কেন্দ্র বিরোধী এক দফা কর্মসূচির কথা সেদিন আবার ঘোষণা করলেন; আর এই কর্মসূচিতে ছাত্র-যুব থেকে শুরু করে দলের সব কটি শাখা সংগঠনকেই মাঠে নামার নির্দেশ দিলেন মমতা। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এইভাবে কর্মী-সংগঠকদের আন্দোলনের পথে ফিরিয়ে এনে একদিকে যেমন পঞ্চায়েত ভোটে জয় আরও মসৃণ করতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী, তার পাশাপাশি মরচে ঝড়ানোর কাজটাও এর মাধ্যমে সেরে নিতে চাইছেন তিনি, যাতে ২০১৯ এর নির্বাচনে প্রবল উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস ।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan