নীল বণিক :
মুকুল-মমতা বিরোধের গোড়ার কথা কী জল!
হয়ত না। জলকে কেন্দ্র করে তাঁদের বিরোধ প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল ঠিকই তবে সেটাই কী শুরু! শুরুরও শুরু আছে নিশ্চয়ই!
ভণিতা নয়, জল বলতে আইআরসিটিসির সেই জলের কথা বলা হচ্ছে। যা সরবরাহ করার বরাত পেয়েছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। যে কথা একঘর সাংবাদিককে অবাক করে মুকুল জানিয়েছিলেন, সেই বরাত তাঁর রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সারদা পায়নি। এমনকি দীনেশ ত্রিবেদীর আমলেও পায়নি। তাহলে কার আমলে পেল? না। এই প্রশ্ন আর করতে হয়নি সাংবাদিকদের। সাংবাদিকদের সবারই জানা ছিল সহজ উত্তরটি!
মুকুলের সেদিনের বক্তব্যের ওপর ভর করে এবার জাল গোটাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মমতা বন্দোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আইআরসিটিসির জলের বরাত পেয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেই বরাত বৈধ ছিল না বলে কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল। এদিকে সারদার তদন্ত হাতে পেয়ে সিবিআই জানতে পারে সুদীপ্ত সেনের কোম্পানীর কাছ থেকে জল কিনে মোটা টাকা লোকসান করেছে ভারতীয় রেল। বাজারদর থেকে অনেক বেশী দামে সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে তখন জল কিনেছিল রেল। সূত্রের খবর, জলের টেন্ডারে দূর্নীতির কিছু তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। মুকুল রায় সেই বহুচর্চিত সাংবাদিক বৈঠকে এটাও জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সময়ে সারদার জলের কোম্পনিকে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছিল। তিনি অারও জানিয়েছিলেন, ‘যাঁর অামলে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে একমাত্র সে পারবে সবকিছুর উত্তর দিতে।’ মুকুল রায়ের এই বক্তব্যকে ক্ল্যু ধরে নিয়ে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে খুব তাড়াতাড়ি রেলের কয়েকজন অাধিকারিককে জেরা করবে সিবিআই। তারপরেই বোঝা যাবে ঠিক কার নির্দেশে সুদীপ্ত সেনকে জলের বরাত দিয়েছিল রেল।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan