এক্সক্লুসিভ
দেবক বন্দ্যোপাধ্য়ায়
কাল, সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বৈঠক। বৈঠক তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যে। মোদি তথা বিজেপি বিরোধী এই ফ্রন্টের ব্যাপারে বেশ কিছুদিন ধরেই উদ্যোগী হয়েছেন মমতা। সোমবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার এই বৈঠকে টিআরএসের পক্ষে থাকবেন তেলেঙ্গানা ইস্যুতে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে টিআরএসে যোগ দেওয়া নেতা এবং রাজ্যের সেক্রেটারি জেনারেল কেশব রাও। চ্যানেল হিন্দুস্তানকে কেশব এদিন বলেন, “এটা একেবারেই প্রাথমিক স্তরের বৈঠক। আমরা যারা সমমনস্ক তারা একটা নতুন বিকল্প খুঁজতে চাইছি। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের বড় দলগুলি বা তাদের নেতৃত্বে চলা সরকার দেশের জন্যে যা করেছে তা মোটেই যথেষ্ট নয়।”
কেশব মমতার পূর্ব পরিচিত। ২০০৯ সালে মমতার সঙ্গে জোটের কথা বলতে তাঁকেই পাঠিয়ে ছিলেন সনিয়া গান্ধি। তবে এক্ষেত্রে আলোচনা হবে জাতীয় স্তরে আঞ্চলিক দলগুলির এক প্ল্যাটফর্মে আসা নিয়ে। কেশবের কথায়, এখনই জোটের কথা আসছে না। তবে নিজেদের মধ্যে কথা বলে একে অপরকে বুঝে নেওয়াটা জরুরী। অভিজ্ঞ রাজনীতিক কেশব রাও অবশ্য মমতার সঙ্গে জোটের ব্যাপারে এখনই সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না। জোট সঙ্গী হিসেবে মমতা কেমন? ১০ এ কত দেবেন তাঁকে? মমতা সম্পর্কে তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়েরই জোট সঙ্গী মমতার বিষয়ে নিজেদের মতো করে অভিজ্ঞতা আছে। মমতার সঙ্গে জোট রাজনীতির অভিজ্ঞতা নিয়েও সরাসরি মুখ খোলেন নি কেশব। বরং তাৎপর্ষপুর্ণ ভাবে এড়িয়ে গেছেন প্রশ্ন। মমতাকে দশে কত দেবেন? সুচারু কেশব প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। উল্টে যা বলেছেন, তাতে বৈঠকের আগের দিন কিছুটা হলেও হাওয়া গরম হবে। কোনও রাখঢাক না করেই কেশব এদিন বুঝিয়ে দেন, মমতাকে এখনই জোট সঙ্গী বা ওই রকম কিছু বলতে চাইছেন না তিনি বা তাঁর দল। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “এখনই আমি কাউকেই জোট সঙ্গী বা ওরকম কিছু বলতে চাইছি না। এখন সবাই রাজনৈতিক বন্ধু। মমতাও রাজনৈতিক বন্ধু।”
রাজনৈতিক বন্ধু হিসেবে মমতা কেমন? সেই প্রশ্নের উত্তরও এদিন এড়িয়ে গেছেন কেশব রাও।