নিজস্ব প্রতিনিধি।
শেষ পর্যন্ত সিপিআই যুবনেতা কানহাইয়া কুমারের (Kanhiya Kumar) বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলার অনুমোদন দিল কেজরীবাল সরকার। ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তখন ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন কানহাইয়া কুমার। গত সপ্তাহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে চিঠি দিয়ে কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা তরাণ্বিত করার ছাড়পত্র চায় পুলিস। এতোদিন পর দিল্লি পুলিসের আবেদনে সাড়া দিলো সরকার।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন কানহাইয়া কুমার। জেএনইউ ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি বলছেন, “জেলাশাসক পর্যায়ের তদন্তেই স্পষ্ট হয়েছিল, ওই দিনের ঘটনায় জেএনইউ’র কোনও ছাত্র যুক্ত ছিল না। ৩ বছর পর চার্জশিট পেশ করে পুলিস। গোটাটাই রাজনীতি। বিচারব্যবস্থার উপরে আমার ভরসা রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, কানহাইয়া কুমার ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, সংসদ হামলার মূলচক্রী আফজল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া। ওই বিতর্কিত ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, জেএনইউ ক্যাম্পাসে স্লোগান উঠছে, ‘কিতনে আফজল মারোগে ঘর ঘর সে আফজল নিকলেঙ্গে’! ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’! ‘ভারত তেরে টুকড়ে হোঙ্গে’! ‘ইন্ডিয়া গো ব্যাক’ আরও অনেক কিছু।
দিল্লির হিংসাত্মক পরিবেশে কেজরিওয়াল সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে খানিকটা আপোষ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির লাগাম সরকারের হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর যে সেই কেন্দ্রের ওপরেই ভরসা করতে হবে সেটাই দিল্লির সরকার বুঝেছে, এমনটাই বলছেন অনেকে।