ভজন গঙ্গোপাধ্যায় :
ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক কোপের আঘাত সহ্য করতে না পেরে মারা গেলেন বসিরহাটের ট্যাকলার বাসিন্দা কার্তিক ঘোষ।
বাদুড়িয়া যখন জ্বলছে তখনই তার ওপর চড়াও হয় দুস্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ পড়তে থাকে তার দেহের ওপর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। রাতের অন্ধকারেই কোনও রকমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় কার্তিককে। কিন্তু ক্ষত এত গভীর ছিল যে চিকিৎসা করার সুযোগ পাননি চিকিৎসকরা। তাই প্রাথমিক কিছু ওষুধপত্র দিয়েই দায় সারতে হয়েছিল তাঁদের।
যদি প্রাণে বেঁচে যান তাই কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেলেন কার্তিক দাস।
শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায়?যায় না বোধহয়। তাই এই মৃত্যু সংবাদ আগুনের মত ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক দল একে অপরকে দোষারোপ করার আরও একবার সুযোগ পেয়ে যায়। কার্তিকের মৃত্যু ঘিরে শুরু হয় নতুন রাজনীতি।
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা দিনভর হাসপাতাল চত্বর ঘিরে রাখে। যাতে তাদের শাসন কালে ঘটে যাওয়া এমন একটি ঘটনা বাইরে চাউর হলেও কেউ যেন তাকে না ছুঁতে পারে। আবার অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে যায়।
সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বাক-বিতণ্ডা হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
একদিকে বিশৃঙ্খলা আর অন্য দিকে শৃঙ্খলা রক্ষার আবেদন, সুবিচারের আবেদন সঙ্গে অন্যায়ের প্রতিবাদ।
প্রশ্ন একটাই আবার আগের মত হবে না তো যাতে আরও একবার প্রমাণিত হয়, ‘যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ।’
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন