Breaking News
Home / TRENDING /  চন্দন হিন্দু বলে কী মানুষ নয়! মমতাকে প্রশ্ন হিন্দু সংগঠনগুলির

 চন্দন হিন্দু বলে কী মানুষ নয়! মমতাকে প্রশ্ন হিন্দু সংগঠনগুলির

দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়
জ্যোতিস্মিতা রায় :

উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ দাঙ্গায় নিহত চন্দন গুপ্তর হত্যার মূল অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের ব্যাপারে আর কোনও তথ্য দিতে না চাইলেও কাসগঞ্জের পুলিশ সুপার পীযুষ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, দোষীদের চিহ্নিত করা গেছে।
বুধবার উত্তরপ্রদেশে যখন এই কাণ্ড চলছে তখন নিহত যুবক চন্দন সংক্রান্ত প্রশ্মের উত্তরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানেন না। প্রশ্ন উঠছে, কেন জানেন না! কিছুদিন আগেই এই রাজ্যের আর এক যুবক নৃশংস ভাবে খুন হয়েছিলেন রাজস্থানে। তাঁর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিশদ জানতে পারলেন, নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিলেন, তাঁর শেষকৃত্যে প্রতিনিধি পাঠালেন। তাহলে চন্দনের বেলায় কেন এমন অবস্থান! নিজে থেকে তো কিছু বললেনই না, তার ওপর সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, তিনি বিশদে জানেন না! হিন্দু সংগঠনগুলি থেকে প্রশ্ন উঠছে চন্দন হিন্দু বলে কী মানুয না! হিন্দু বলে কী সে বা তাঁর পরিবার সহমর্মিতার আশা করতে পারেন না! মানবিকতা নামক বিশেষ গুণটি কী জাতিধর্ম নির্বিশেষে জেগে উঠতে পারে না!
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, বলেছেন এমন ঘটনা কাম্য নয় ইত্যাদি। তবে বলেননি তিনি নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন কী না! দায়সারা কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করেছেন এবং তড়িঘড়ি উত্তর শেষ করেছেন।
এমন একটি বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন, তখন তাঁর পাশে বসা অমিত মিত্র তাঁর শাল পাট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাব নিয়ে একবার প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক ও আর একবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখপানে তাকিয়ে ছিলেন!
রাজ্যের পরিচিত বুদ্ধিজীবীরাও প্রত্যাশা মতোই চুপ। কারও ধর্ম যদি জন্মসুত্রে হিন্দু হয় তবে তাঁর মৃত্যুতে বাড়িতে বসে নীরবতা পালন করাই এই রাজ্যের সরকার অনুগৃহীত বুদ্ধিজীবী ও ‘মূলত বামপন্থী’ মার্কা বুদ্ধিজীবীদের (সিউডো কম্যুনিস্টও হতে পারে) একমাত্র কর্তব্য। ভাবটা এমন যেন হিন্দুর মৃত্যুতে রিঅ্যাক্ট না করাটাই বুদ্ধিজীবীতা! যাই হোক উত্তর প্রদেশ
সরকার কাসগঞ্জের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জমা দেয়। আলিগড়ের আইজি জানিয়েছেন গোলমালের মূল পাণ্ডা সেলিমকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার কাসগঞ্জের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকলেও সেখানে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কংগ্রেস সমর্থকদের প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। প্রসঙ্গত ২৬ জানুয়ারি দাঙ্গার পর
মঙ্গলবার ফের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বুধবারও এলাকার দোকানপাট বন্ধ ছিল। এদিকে এদিনেই এই ব্যাপারে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন তাঁর রাজ্য কোনও রকমের অরাজকতা সহ্য করবে না।

বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

https://www.youtube.com/channelhindustan

https://www.facebook.com/channelhindustan

 

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *