শৌভিক সান্যাল :
এবার বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে পুলিশের জালে জাল চিকিৎসক। সঙ্গে দুই সহযোগীও গ্রেফতার হয়েছে।
শনিবার রাতে খিদিরপুর এলাকার এক ক্লিনিক থেকে গ্রেফতার করা হয় কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারের জাল চিকিৎসক অজয় তিওয়ারিকে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে গ্রেফতার আর এক জাল চিকিৎসক! ধৃতের নাম চন্দন চক্রবর্তী।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছরখানেক ধরে ময়ূরেশ্বরের মল্লারপুর গোয়ালাগ্রামে ঘর ভাড়া নিয়ে বাস করে চিকিৎসা করছিলেন ধৃত চন্দন চক্রবর্তী। তবে নিজেকে অঞ্জন পাল বলে পরিচয় দিতেন তিনি। অঞ্জন পাল লেখা প্যাডও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। যাতে লেখা রয়েছে এমবিবিএস! এলাকায় ভালই পসার ছিল চন্দনের। কয়েকদিন আগে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপর রবিবার তাঁকে স্থানীয় একটি ক্লাবে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গ্রামবাসীরা। তখনই পরদা ফাঁস!
ধৃতের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও এমবিবিএস ডিগ্রি ভুয়ো। একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় অন্যের নাম ভাঁড়ানোর কথাও স্বীকার করেছেন ধৃত চন্দন চক্রবর্তী। ধৃতের ২ সহযোগীকেও গ্রেফতার করেছে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এভাবেই দিনের পর দিন প্র্যাকটিস চালিয়ে গিয়েছেন চন্দন। ভিজিট নিতেন ৩০০ টাকা। ধৃতের কাছ থেকে বেশকিছু নথিও পেয়েছে পুলিশ। সেগুলি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩ মে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে কাইজার আলম নামে এক জাল ডাক্তারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরদিন, আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া থেকে গ্রেফতার হয় খুশিনাথ হালদার নামে একজন। মালদা থেকেও ধরা পড়েন আরও ২ জাল চিকিৎসক।
জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকেও গ্রেফতার হন একজন। গত ২৫ তারিখ ডাক্তারির ভুয়ো শংসাপত্রের কারবারি বলে অভিযুক্ত রমেশচন্দ্র বৈদ্য নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
এন্টালি থেকে ধরা পড়েন নরেন পান্ডে। যিনি দীর্ঘসময় ধরে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা করতেন। তারপর হাওড়ার শুভেন্দু ভট্টাচার্য। শনিবার রাতে খিদিরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় কোঠারির অজয় তিওয়ারিকে। এবার জাল চিকিৎসকের তালিকায় নবতম সংযোজন চন্দন চক্রবর্তী। শোনা যাচ্ছে, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৫০০ ভুয়ো ডাক্তার নাকি ছড়িয়ে আছে।