চ্যানেল হিন্দুস্থান, নিউজ ডেস্ক-
এবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির (Kanthi) দুই চিংড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে ED র হানা। গত দুই দিন দিনভর তল্লাশি চালালো আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা (Income Tax)। বুধ ও বৃহস্পতিবার পর পর দুই মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানায়, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এর আগেও কাঁথির মাজনায় কয়েকজন কাজু ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর দপ্তর। এবারের অভিযানে আয়কর আধিকারিকরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে দুই ব্যবসায়ীর কাঁথি ও কলকাতার একাধিক বাড়ি, প্রসেসিং ইউনিট,অফিসে তল্লাশি চালালো।
গত বুধবার সকালে একটি দল, চিংড়ি মাছ ব্যবসায়ী মমরেজ আলির পিছাবনির প্রসেসিং ইউনিট, কলকাতার কালিন্দীর বাড়ি, ট্যাংরায় একাধিক বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি করে। তবে কাঁথির বাড়ি, অফিসে, আয়কর দপ্তরের হানার সময়ে মমরেজ জেলায় ছিলেন না, তিনি ছিলেন কলকাতায়।
বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আয়কর দপ্তরের জিজ্ঞাসাবাদে মমরেজের দাদা কামরেজ অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, মমরেজের বাড়ির পাশাপাশি কাঁথির আরও এক চিংড়ি ব্যবসায়ী চিন্তামনি মণ্ডলের বাড়ি,অফিস, কারখানা এবং শোরুমেও হানা দেয় আয়কর দপ্তর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি চিংড়ি মাছের ফিসারি এবং উৎপাদিত মাছ প্রসেসিং করে বিদেশে রপ্তানির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
পূর্ব মেদিনীপুর এবং কলকাতায় একাধিক চিংড়ি প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে মমরেজ এবং চিন্তামনির। কয়েক বছর আগে, চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানির জন্যে মৎস্য দপ্তরের মীনমিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন মমরেজ। তিনি প্রায় ৬টি বাড়ির মালিক বলেও দাবি, স্থানীয় সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, মমরেজ এবং চিন্তামনি দুজনেই এক সময় শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু বিজেপিতে চলে গেলেও, তারা দুজনে তৃণমূলে থেকে যান। এমনকী, শুভেন্দু অধিকারী কাঁথি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান থাকার সময়ে চিন্তামনি মণ্ডল ওই ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন।
শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর পরে চিন্তামনি ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছিলেন। আর মমরেজ আলি ছিলেন কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান। তবে আয়কর দপ্তরের হানা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দুই পরিবারের লোকেরা। তাদের বাড়ি থেকে কী নথি উদ্ধার হয়েছে তাও স্পষ্ট জানা যায়নি।