নীল বণিক :
জলের আরেক নাম জীবন। কিন্তু সেই জলই যখন জীবন সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন তো কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়াই স্বাভাবিক।
ধরুন ট্রেনে বা প্ল্যাটফর্মে যে-জল ‘প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার’ বলে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে তা কি আদৌ স্বাস্থ্যকর! এবার আসল-নকল ধরার লক্ষ্যেই কোমরবেঁধে নামছে আইআরসিটিসি। সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানান রেলের কামরা ও স্টেশনগুলিতে নকল জলের ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছে বলে খবর। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে আরপিএফ নকল জলের বোতল সংগ্রহ করেছে। সেই জলের বোতলগুলিকে পরীক্ষা করার জন্য সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলেই অভিযুক্তদের রেলের ফুড সেফটি অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান দেবাশিস চন্দ্র। রেল পুলিশ ছাড়াও এব্যাপারে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলবে রেল। চলতি মাসে রেল কর্তাদের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের বৈঠকে নকল জলের বিষয়টি তোলা হবে বলে তিনি জানান। এমনকী রেলের কামরায় নকল জল আটকাতে যাত্রীদের সচেতন করবে রেল। আইআরসিটিসির নিজস্ব সংস্থা ‘রেল নীর’ সহ চারটি জলের কোম্পানি রেলের কামরায় জল বিক্রি করার অনুমতি পায়। সেই নির্দিষ্ট কোম্পানিগুলির জল যাতে যাত্রীরা কেনেন তার জন্যও যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে রেল দফতর।