চ্যানেল হিন্দুস্থান, নিউজ ডেস্ক-
ক্রমশ ঝাঁজ বাড়ছে ডিএ আন্দোলনের। অবশেষে যন্তরমন্তরে তাদের ধর্ণায় বসার অনুমতি দিল দিল্লি পুলিশ। আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল পরপর দু’দিন ধর্ণায় বসতে চলেছে রাজ্য সরকারের আন্দোলনকারী কর্মীরা। তবে ধর্ণায় ৫০০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এর আগেই ডিএ আন্দোলনকারীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান , দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান। শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছাপ্রকাশও করেন তিনি।
পাশাপাশি যন্তরমন্তরে ধর্নাতে অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হন তারা, তাতেই মিলেছে সবুজ সংকেত। সুতরাং কলকাতার পর রাজধানীর রাজপথে ডিএ আন্দোলনের ঝাঁজ যে আরও বাড়তে চলেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
এদিকে, ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে ডিএ আন্দোলনের শুনানি রয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ সুুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ নিয়ে মামলা পিছিয়ে গিয়েছিল, দীর্ঘদিন ধরেই তার শুনানি হচ্ছে। সেই নভেম্বরে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের হলেও এপর্যন্ত মাত্র একদিন এই মামলার শুনানি হয়েছিল। প্রথম শুনানিতেই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। ফলে মামলায় নতুন বেঞ্চ গঠন করতে হয়। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীকে নিয়ে নতুন করে বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল।
কিন্তু বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ও এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ফলে ফের নতুন বেঞ্চ গঠন করে এবারে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারকে নিয়ে বেঞ্চ গঠন হয়। সেই বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বিচারপতিরা জানান এই মামলার শুনানি প্রক্রিয়া দীর্ঘ হবে। তাই নতুন করে ১১ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়।