দার্জিলিং থেকে ঈষাণিকা ভোরাই:
দার্জিলিং-এর উন্নয়নে কোনওরকম নাক গলাবে না রাজ্য সরকার বরং জিটিএর দাবি মতো তাদের সব রকম সহযোগিতা করবে রাজ্য। উন্নয়নমূলক সব কাজ অবশ্য জিটিএকেই করতে হবে। বুধবার চৌরাস্তার সভায় দাঁড়িয়ে এ ভাষাতেই পাহাড়ের মন জয়ের চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর কথায় “আমি পাহাড়ে ভোট চাইতে আসি না, কিছু নেওয়ার জন্য আসি না। আমি আসি আপনারা ভালো আছেন কিনা দেখতে”। এদিনের ভরা জনসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা,”আমি চাই দার্জিলিঙ-এ পর্যটন হাব হোক, তথ্যপ্রযুক্তি হাব হোক”। মোর্চা নেতা তথা অস্থায়ী জিটিএর চেয়ারম্যান বিনয় তামা়ঙ্গ যখন মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানান পাহাড়ে একটা শিল্প সম্মেলন করার; তখন মুখ্যমন্ত্রী সেটা লুফে নিয়ে বলেন “মার্চ-এপ্রিল মাসে সময় করে শিল্পপতিদের নিয়ে এখানে আসবো”। তবে সেই সঙ্গে মমতার আহ্বান “পাহাড়ে বনধ এবার বন্ধ হওয়া উচিৎ। ভবিষ্যতের জন্যই দার্জিলিংকে সামলানো উচিত আপনাদের”। বিনয় তামা়ঙ্গদের দাবি মতো পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় করার কথাও তিনি ঘোষণা করলেন মঞ্চে দাঁড়িয়েই। দীর্ঘ সাত-আট মাস যাঁর আন্দোলনের ফলে পাহাড়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল সেই বিমল গুরুঙ্গর নাম একবারের জন্যও মুখে না এনে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ইঙ্গিতে জানালেন, “বাইরের কিছু লোক আপনাদের ভড়কায়। তবে ওরা এখন আর দার্জিলিঙে থাকে না। চলে গেছে”। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পুরো ভাষণের সময় মাত্র দু-বার উপস্থিত জনতাকে হাততালি দিতে দেখা গেল, যখন তিনি বলেন “টাকা দিয়ে দার্জিলিং কেনা যায় না” আর দ্বিতীয়বার যখন তিনি “বিশ্ববিদ্যালয়” করার কথা ঘোষণা করেন। এর আগে যতবার তিনি পাহাড়ে এসে বিভিন্ন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তখন কিন্তু এই পাহাড়বাসী হাততালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে দীর্ঘ ৭/৮ মাসের অচলাবস্থা কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরা পাহাড়ের এই জড়তা কাটতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করছেন পাহাড় বিষয়ে অভিজ্ঞ মানুষজন।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan