চ্যানেল হিন্দুস্থান ডেস্কঃ বাড়িতে ঢুকে হাত-পা বেঁধে তৃণমূল প্রার্থীকে চোখে ঢালা হল চুন। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নৃশংস অত্যাচারের সাক্ষী কোচবিহারের শীতলকুচি। কে বা কারা হামলা চালায়, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা।শুক্রবার রাতে ঘড়ির কাঁটায় আড়াইটে হবে। শীতলকুচির ২৭৮ নম্বর বুথের সভাপতি তথা তৃণমূল প্রার্থী খবির হোসেন মিঞা তাঁর নিজের ঘরে একা শুয়েছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই বাড়ির টিন কেটে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে পড়ে। খবির হোসেনের হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর চলে বেধড়ক মারধর। তাঁর চোখে চুনও ঢেলে দেওয়া হয়। চিৎকার করতে শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ধাক্কাধাক্কিতে ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র পড়ে যায়।তাতেই বাড়ির লোকজন টের পান। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তৃণমূল প্রার্থীকে উদ্ধার করা হয়। মাথাভাঙা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে৷ সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে শীতলকুচির লালবাজার এলাকায় পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। তার ফলে যানচলাচল ব্যাহত হয়। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিরাট পুলিশবাহিনী। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথাবার্তাও হয় পুলিশের।কে বা কারা তৃণমূল প্রার্থীর উপর হামলা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শীতলকুচি ব্লক তৃণমূল সভাপতি তপন কুমার গুহ বলেন, “দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। অবিলম্বে পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।” অন্যদিকে, কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, “কোন প্রার্থী সম্মানহানি হোক তা আমরা চাই না। দলমত নির্বিশেষে পুলিশ উপযুক্ত ভূমিকা গ্রহণ করুক। সারা রাজ্যজুড়ে দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলছে। কে কার শত্রু বোঝার উপায় নেই।”
