নীল বণিক :
মমতার ধমকের সম্মান রাখতেই কী ভাঙড়ে শান্তি মিছিল তৃণমূলের!
শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন মিলেমিশে না থাকলে দল থেকে তাড়িয়ে দেবেন। শণিবারই নিজেদের মিলেমিশে থাকার ছবি দেখাতে আরাবুল ও রেজ্জাক একসঙ্গে মিছিল করলেন ভাঙড়ে। তাঁদের যুগলে দেখে একপ্রকার স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল ভাঙড়বাসী! তাঁদের আশা অন্তত পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত এই দুই যুযুধানের অনুগামীরা আর এলাকায় অশান্তি ছড়াবেন না।
ভাঙড় অান্দোলনের একেবারে প্রথম দিকটা ছিল মূলত অারাবুল ও কাইজার গোষ্ঠীর লড়াই। ধীরে ধীরে তৃণমূলের এই দুই নেতার উপর বিরক্ত হয়ে অনিচ্ছুক কৃষকরা নকশালপন্থী সংগঠন গুলির ছাতার তলায় অাসতে শুরু করে। ভাঙড়ের অনিচ্ছুক চাষিরা তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে যে দল ছেড়েছেন তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি টিএমসি সুপ্রীমোর। তাই নেত্রীর কড়া ধমকের পর শনিবার আরাবুল-কাইজার-রেজ্জাক একসঙ্গে শান্তি মিছিলে হাঁটলেন। মিছিলের শেষে নেত্রীকে খুশি করতে অারাবুল ইসলাম গোষ্ঠীদ্বন্দের অবসানের বার্তা দিলেন। তার সঙ্গে দলে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ রয়েছে তাও তাঁর বক্তব্যে পরিস্কার হল। তিনি জানান বড় পরিবারে মতের অমিল হতেই পারে। তার জন্য দলের শৃঙ্খলা ভাঙলে চলবে না। কাইজার অাহমেদ অাবার গোষ্ঠী কোন্দলের কথা সরাসরি মেনে নিলেন। তিনি জানান অামাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। না হলে এর সূযোগ বিরোধীরা নেবে বলে। গোষ্ঠী কাজিয়া না মিটলে সামনের পঞ্চায়েত ভোটো যে প্রভাব পড়বে তা পরিস্কার বুঝিয়ে দেন রেজ্জাক মোল্লা।
বিবদমান গোষ্ঠীপতিরা যে যাই বলুক, এলাকার মানুষ বলছে শান্তি শান্তি!
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan