নীল বণিক :
পুলিশকে বোমা মারার কথা বলার পরেও অনায়াসে পার পেয়ে যান বীরভূমের কেষ্ট!
তাঁর মেজাজের সামনে পড়ে গিয়ে জেলার অনেক এসআই, এএসআইদের মত নীচু তলার পুলিশ কর্মীদের উর্দির সন্মান হানি হয়েছে। তাও আবার প্রকাশ্য দিবালকে জনতার সামনে।
এবার মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন অনুব্রত মণ্ডলের দাপটের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন বীরভূম জেলার ডিএসপি হেডকোয়াটার্স কাশীনাথ মিস্ত্রী। বোলপুরের শিবপুর মৌজায অনিচ্ছুক চাষিদের সভাতে জেলা পুলিশের বড়কর্তার ভূমিকাতে ডিউটি করছিলেন তিনি। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। হঠাৎ তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে অনিচ্ছুক চাষিদের গণ্ডগোলে উত্তাল হয়ে ওঠে শিবপুর। জেলা পুলিশের নীচু তলার অফিসাররা ডিএসপি হেড কোয়ার্টার্সের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা সামলাচ্ছিলেন। দু’পক্ষকেই আইনের শাসনের মধ্য দিয়ে বেশ সামলাচ্ছিলেন কাশীনাথ মিস্ত্রি। কিন্তু হঠাৎ একজন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কানে ফিসফিস করে বলে, “ডিএসপিটা বড্ড নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করছেন দাদা!” আর তাতেই অনুব্রত নিজের চেনা মেজাজে চলে আসেন। দলীয় কর্মীদের সামনে, পুলিশের নীচুতলার কর্মীদের সামনে, উপস্থিত সাধারণ মানুষের সামনে, ফের পুলিশকে ধমকাতে শুরু করেন কেষ্ট, সকলেই জানেন বীরভুমের এই কেষ্টই বীরভুমের ‘বীর নেতা’ অনুব্রত মণ্ডল। একেবারেই নিজের চেনা ছন্দে ফিরে অনুব্রত সেদিন বলেন,”শিবপুরের প্রকল্পে যারা বাধা দেবে, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দাও।” প্রয়োজনে ওই ডিএসপিকে বোম মার। অনুব্রতর মুখে চেনা বচন শুনে জেলা পুলিশের নীচুতলার অফিসাররা ডিএসপি হেড কোয়ার্টার্সের মুখের দিকে তাকান। ডিএসপি নিজেও অনুব্রতর এই উক্তি জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তাকে জানিয়ে দেন। তারপরেও শণিবার রাত পর্যন্ত অনুব্রতর নামে বোলপুর বা জেলার হেডকোয়ার্টার্সে কোনও এফআইআর হয়নি। কেন হল না ? তা নিয়ে জেলা পুলিশের সব কর্তা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan
আরও পড়ুন :-
https://channelhindustan.com/2017/11/dilip-ghosh-mukul-roy-copy/