চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
“বিজেপি জয়ী হলে সেই এলাকার কোনও উন্নয়নের কাজ হবে না।” মঙ্গলবার খয়রাশোলের কর্মিসভায় এমনটাই বললেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তিনি বলেন, “আপনি আমাকে না দিলে আমি একতরফাভাবে আপনাকে দেব না”। এরপরেই নাকরাকোদার অঞ্চল সভাপতি বিকাশ ঘোষকে বীরভূম জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি জানিয়ে দেন, “বিকাশ কাজের কথা বলবি না। কোনও কিছু কাজ চাইবি না । যেখানে বিজেপি জয়ী হবে সেখানে টোটাল কাজ স্টপ।” প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে এই নাকরাকোদা বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি (BJP)। অঞ্চল সভাপতিকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের এই হুমকির জবাব দিতে বেশি দেরি করেননি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কারো প্রতি টাকায় রাজ্যের উন্নয়ন হয় না। রাজ্য সরকার যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ করে দেওয়া হয় জনগণের করের টাকায়। কিন্তু অনুব্রতবাবু এমনটা বলতেই পারেন, কারণ তিনি দেশের সংবিধান বা গণতন্ত্র মানে না তার আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে কোনও নতুন বিষয় নয়। কখনও পুলিশকে বোম মারা, কখনও বিরোধী নেতাদের চোখ উপড়ে নেওয়া। আবার কখনো জেলার পুলিশ সুপারকে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ভুয়ো দিয়ে জেলে পুরে দেওয়া। নামার সময় এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। হাজারো বিতর্ক সত্ত্বেও নিজের অবস্থান বদল করেননি অনুব্রত মণ্ডল। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত মাথায় থাকায় প্রশাসনিক কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি তাঁর বিরুদ্ধে। লোকসভা ভোটে বীরভূম জেলার লোকসভা আসনে তৃণমূল ঘরে তুললেও পাঁচটি বিধানসভা আসনে এগিয়ে যায় গেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, ফলাফল দেখি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এখন ভুলভাল কথা বলছেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা সময় গরমাগরম কথা বলে রাজ্য রাজনীতিতে জোর বিতর্ক বাঁধিয়ে দিয়েছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরেও যে তিনি নিজে কোনো শিক্ষা নেননি। এদিনের ঘটনা তারই প্রতিফলন এদিনের মন্তব্য।