চ্যানেল হিন্দুস্থান ডেস্কঃ আগেই হয়েছিল মামলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্যারা টিচাররা লড়তে পারলেও তাঁরা কেন বাদ? এই প্রশ্ন তুলেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষাবন্ধুরা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের পক্ষেই গেল আদালতের রায়। শিক্ষাবন্ধু পদে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য ১৬ জুন শুক্রবার পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করার সুযোগ দিতে হবে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশই দিয়েছে আদালত। এদিকে ভোটে লড়ার বিষয়ে কমিশনের তরফে যাঁদের কথা বলা হয়েছিল সেখানে ছিল না শিক্ষাবন্ধুদের কথা। তাই তাঁরা ভোটে লড়তে পারবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।এরপরই মামলা হয় হাইকোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে। সূত্রের খবর, এই মামলা চলাকালীন সময়ে কমিশনের আইনজীবী জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। অর্থাৎ, শিক্ষাবন্ধুরাও পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যদিও পুরো বিষয়টি মৌখিকভাবে তিনি আদালতে জানান। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের তরফে সাফ জানানো হয় শিক্ষাবন্ধু পদে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য ১৬ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে এক দফায় হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১৫ জুন ছিল মনোনয়ন জমার শেষ দিন। ২০ জুন পর্যন্ত করা যাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার। তার আগেই শিক্ষবন্ধুদের জন্য এল আদালতের এই নির্দেশ। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। পাশাপাশি স্পর্শকাতর এলাকাগুলিও দ্রুত নির্দিষ্ট করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শীর্ষ আদালতের তরফে।
