Breaking News
Home / TRENDING / নো হেলমেট, নো স্কুল

নো হেলমেট, নো স্কুল

মধুমন্তী  :

হেলমেট ছাড়া তেল মিলবে না। হেলমেট ছাড়া বাইক স্কুটার চালানোও বারণ। কিন্তু স্কুলে হেলমেট পরে আসতে হবে ফরমান জারি হয়েছে। অবাক লাগছে!

এমনটাই হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষিকারা ক্লাস করাচ্ছেন হেলমেট পরে। না, কোনও কমেডি ছবির দৃশ্য নয়। বাস্তবেই এমন ছবি ধরা পড়ল তেলেঙ্গানায়।

তেলেঙ্গানার সঙ্গারেড্ডি জেলার শঙ্করাপেটা সরকারি স্কুলের এমনই বেহাল দশা, যখন-তখন মাথায় ভেঙে পড়তে পারে ছাদ। এতটাই জরাজীর্ণ অবস্থা স্কুলের বিল্ডিংয়ের। কোথাও মাথার ওপর ঝুলছে আধাভাঙ্গা ছাদ তো কোনও দেওয়ালের গা থেকে খসে পড়ছে চুন। শুধু তাই নয়, বৃষ্টি হলেই মাথায় পড়ে টপটপ জল।

অথচ এই স্কুলেই রয়েছে প্রায় ৬০০ পড়ুয়া। স্কুলে যেতে হবে শুনলেই নাকি তাদের হাড়-হিম হয়ে যায়। হওয়াটাই স্বাভাবিক!

বাচ্চারা স্কুলে এসে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। সবসময় একটা আতঙ্ক কাজ করে এই বুঝি ছাদ ভেঙে পড়ল, জানিয়েছেন একজন শিক্ষিকা।

স্কুলের এই বেহাল দশা দেখে প্রশাসন উদাসীন। কমপক্ষে তিন বছর ধরে প্রশাসনের কাছে দরবার করেও স্কুলের হাল ফেরানো যায়নি। অগত্যা স্কুলে হেলমেট পরে আসবারই সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।

শুধু স্কুলই নয়, এরকমই বেহাল চিত্র ধরা পড়েছে বিহারের এক সরকারি অফিসেও। পূর্ব চম্পারন জেলার এক সরকারি অফিসের কর্মীরাও মাথায় হেলমেট পরে কাজ করতে আসছেন। কারণ, বেহাল দশা অফিস বিল্ডিংয়ের। যে-কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে।

শুধু অফিসের কর্মচারীরাই নয়, অফিস লাগোয়া পাশের রাস্তা দিয়ে যে কেউ যাওয়ার সময় তাঁরাও মাথা ঢেকে যান।

অফিসের এক কর্মচারী জানান, “এ পর্যন্ত অফিসের অনেকেই  ছাদের চাঁই ভেঙে আহত হয়েছেন। বৃষ্টির জলেও ছাদ বেয়ে কাজের টেবিলে এসে পড়ে। তবুও এত সমস্যা সত্ত্বেও আমাদের অফিস আসতেই হয়।”

তবে এখানেও চিত্রটা বেশ এক, বিহার সরকার বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করলেও, এখনও কোনও প্রয়াসই নেয়নি বাড়িটি সারানোর। তাই ওই অফিসেই চলছে কাজ।

তবে প্রশ্ন উঠছে অন্য জায়গায়। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার স্কুলে স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম করার কথা বলছে, সেখানে স্কুলের ছাদটুকু সারাতে এত গাফিলতি! একইভাবে দেখতে গেলে গোটা দেশকেই যেখানে মোদী সরকার ডিজিটালের চাদরে মুড়ে ফেলতে চাইছে, সেখানে স্কুল-অফিসের এমন বেহাল দশা কেন!

 

লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন

বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *