নির্বেদ রায় :
প্রিয় দা শিখিয়েছিলেন বামেদের কিভাবে বামপন্থী দর্শন দিয়ে আক্রমণ করতে হয়। তখন ইন্দিরা সোভিয়েতের সঙ্গে চুক্তি করেছেন আর প্রিয়দার বক্তৃতা থেকে আমরা শিখছি বামেদের ঠেকাতে। তাঁদের মতবাদেই তাঁদের পর্যুদস্ত করতে।
অনেকদিন পর এরকম কষ্ট পেলাম। সাধারণত এরকম আমার হয় না। সামলে নিতে পারি। আজ হচ্ছে। কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। লিখতেও কলম সরছে না। হাজারো স্মৃতি ভিড় করে আসছে। মালাকে পুর নির্বাচনে দাঁড়াতে বললেন প্রিয়দা। বললাম, ‘প্রিয়দা খুব টাফ হয়ে যাবে না!’ বললেন, ‘চল না সবাই মিলে চেষ্টা করে দেখি!’ মানুষ উজাড় করা মিছিল করলেন প্রিয়দা। বক্তৃতা দিলেন অতুলনীয়। আমজাদ দা’র (সর্দার আমজাদ আলি) সুবক্তা সেদিন বলেছিলেন, “আজ প্রিয় যা বলল এরপর আর মিটিং করা চলে না।” চলেও নি। আমজাদ দার কথা মত মিটিং সেখানেই শেষ করা হয়েছিল। শুধু বাংলা নয়। হিন্দিতেও প্রিয়দার ভাষণ সমান সমৃদ্ধ। সংসদে একদিন বাজপেয়ীকে আক্রমণ করে ভাষণ দিলেন। মনে আছে সেই ভাষণ শেষ করেছিলেন বাজপেয়ীর কবিতা উদ্ধৃত করেই। এমনিতে কবিতার প্রতি টান ছিল প্রিয়দার। কবিতার টানেই দক্ষিণী বার্তার জন্ম। তাঁর লেখা বই ‘কত রক্ত কত নাম ‘ ঝোড়ো সময়ের দলিল।
প্রিয়দাকে কয়েকটা কথায় বোঝান খুব কঠিন। মনে হয় অসম্ভব!
চুপ করে ছিলেন ন’বছর। তবু তো ছিলেন। আমাদের সবার নেতা চলে গেলেন আজ। কষ্ট পেলেন খুব। যাক! এতদিনে ওঁর আরাম হল। আমাদের কষ্ট হচ্ছে ঠিকই, তবু প্রিয়দা এবার একটু আরাম করুন।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan