প্রদীপ গাঙ্গুলি :
খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, এটা তো ইস্টবেঙ্গল নয়, ইস্টবেঙ্গলের মতো দেখতে কোনও একটি টিম।
খেতাবি লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে এ দিন গোকুলামের বিরুদ্ধে ম্যাচটি ছিল ডু অর ডাই। সেই ম্যাচে লজ্জার হার ইস্টবেঙ্গলের। এই ইস্টবেঙ্গল দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কীভােব ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তা অন্য টিমের কাছে উদাহরণ ছিল। এ ই ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে ম্যাচ রিপোর্ট লেখার সময় সাংবাদিকরা কতবার যে ‘খোচা খাওয়া বাঘের মতোই ভয়ঙ্কর ইস্টবেঙ্গল’ লাইনটি লিখেছে, তার ইয়াত্তা নেই।
সেই সমস্ত অতীত। বর্তমানের এই ইস্টবেঙ্গল জানে হারতে। এই ইস্টবেঙ্গল জানে খেতাবি লড়াইয়ে সুযোগ পেয়েও কীভাবে হারাতে হয়। এই ইস্টবেঙ্গল জানে, হাতের লক্ষ্ণী পায়ে ঠেলতে।
খেতাবি লড়াইয়ের কোমা থেকে ভেন্টিলেশনে চলে গেল খালিদের দল। পেনাল্টি থেকে কাৎসুমির গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হার। বিরতির একটু আগে বক্সের মধ্যে লোবোকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। কাৎসুমি ১–০ এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে লাল–হলুদের ছন্নছাড়া ফুটবল। ফল যা হওয়ার তাই হল।
২–১ গোলে হার। ৫১ ও ৮৬ মিনিটে গোল করেন গোকুলামের কিভি ও সালাম রঞ্জন সিংয়ের আত্মঘাতী গোল। গোকুলামের দুটো শট পোস্টে লেগে না ফিরলে অনেক আগেই লাল–হলুদ মশালে জল পড়ত। গোকুলামের ইরশাদ ও ইস্টবেঙ্গলের অর্ণব মণ্ডল লাল–কার্ড দেখেন। ম্যাচের পর লাল–হলুদ ড্রেসিংরুমে চূড়ান্ত হতাশা। ১৪ বছরের খরা কি এবারও কাটানো গেল না?
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan