মধুমন্তী :
সোনিকার মৃত্যু, বিক্রমকে জেরা, বিক্রমের কথায় একাধিক অসঙ্গতি সব মিলিয়ে প্রতি মুহূর্তে রহস্য দানা বাঁধছে সেদিনের দুর্ঘটনা নিয়ে।
২৯শে এপ্রিল পার্টি করে ভোররাতে বন্ধু বিক্রমের গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন সোনিকা। ফিরতি পথেই রাসবিহারীর ওপর লেক মলের কাছে একটি পোলে সজোরে ধাক্কা মারে বিক্রমের গাড়ি। স্টিয়ারিং সিটে ছিলেন বিক্রম নিজে।
আর তারপরই ঘটতে থাকে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে বান্ধবীকে হাসপাতালে নিয়ে যান বিক্রম। কিন্তু দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৫মিনিটের দূরত্বে তিনটি হাসপাতাল থাকলেও সেখান থেকে আধ ঘণ্টা দূরত্বের একটি হাসপাতালে সোনিকাকে ভর্তি করেন বিক্রম। কিন্তু কেন? সেখানেই উঠেছে প্রশ্ন। যার সদুত্তর এখনও মেলেনি।
দুর্ঘটনার পরেরদিনই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বিক্রমকে। কিন্তু তার পরেও আবার কেন হাসপাতালে ভরতি হলেন বিক্রম তার সদুত্তরও মেলেনি এখনও।
দ্বিতীয়বার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, তিনি মদ্যপান করেননি। কিন্তু পানশালার ফুটেজ সামনে আসা মাত্রই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বিক্রম জানিয়েছেন, তিনি মদ্যপান করলেও মত্ত ছিলেন না একেবারেই। ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে গাড়ির গতিবেগ নিয়েও।
অন্যদিকে সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গোপন জবানবন্দিতে পুলিশকে বিক্রম জানান, তাঁর সঙ্গে সোনিকার সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্বের ছিল না। তাঁদের সম্পর্ক নাকি গড়াচ্ছিল প্রেমের দিকে। দুর্ঘটনার আগে একঘণ্টা একান্তে সময়ও কাটান বিক্রম-সোনিকা।
অন্যদিকে সাহেবের সঙ্গে এবছরের শেষের দিকে বিয়ের কথা থাকলেও সোনিকা-সাহেবের সম্পর্ক নাকি একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না বলেই খবর।
দুর্ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই নাকি নিজের কাজে ফিরে গেছেন বলে জানান বিক্রম। কিন্তু সুত্র বলছে বিক্রম যেসব কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন এক এক করে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে সেইসব কাজ। তাই মাথায় হাত পরিচালক থেকে প্রযোজকদের।
যদিও সেসবই এখনও প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। গোটা ঘটনায় কেন এত অসঙ্গতি? কেন এত লুকোছাপা? কি লুকোতে চাইছেন বিক্রম? দুর্ঘটনার প্রায় একপক্ষকাল পরেও এখনও সেইসব কারণই খুঁজে চলেছে পুলিশ।
Protibedon e notun kichu dik ba prosno dakhte palam, ghotonar opor bislason mulok apokpat dhake vhalo laglo…