নীল রায়।
নাগরিক সংশোধনী আইন (CAA) ও এনআরসির (NRC) বিরোধিতায় রাজ্যের সর্বত্র হিংসাত্মক কার্যকলাপের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলস্বরূপ শনিবার দুপুরে একটি লিখিত বার্তার পাশাপাশি একটি ভিডিও প্রকাশ করলেন তিনি। সেই বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন, কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গন্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দফায় দফায় মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থেকে শুরু করে হাওড়া উলুবেড়িয়া, উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউন-রাজারহাট ও কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের জনরোষ লক্ষ্য করা যায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাস, অবরোধ করা হয় ট্রেন। ট্রেনের যাত্রীদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট-পাটকেল। শনিবারও তা অব্যাহত রয়েছে বলে খবর মিলেছে বিভিন্ন জেলা থেকে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের এই আক্রোশ দেখে ময়দানে নামেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “এইভাবে হিংসাত্মক কার্যকলাপ করলে অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করা হবে। হিংসার পথ ছেড়ে সকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মিছিলে শামিল হন।”
কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনদের সেই ক্ষোভ যে পুরমন্ত্রীর কথায় থামবে না, তা ভালোই বুঝতে পেরেছে রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী লিখিত বার্তার পাশাপাশি,কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) তথা রাজ্য প্রশাসনের সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজে মুখ্যমন্ত্রীর একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী তাদের আন্দোলনকে সমর্থন করেও, হিংসাত্মক কার্যকলাপে নিয়ন্ত্রণ আনতে অনুরোধ করেছেন। এলাকায় এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন তিনি।