নীল বণিক :
রাজনীতি হোক বা সৌজন্য রাখিবন্ধনে শাসকদলকে টেক্কা দিলেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় । সকালে দলের রাজ্য সদর দফতরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে রাখি পরান লকেট। পরে দলের যুবমোর্চার সদস্যদের রাখি পরানর কর্মসূচি ছিল তাঁর। ঠিক সেই সময়ে দীলিপ ঘোষ তাঁকে বলেন লালবাজারে রাখি পরিয়ে আসতে। সম্প্রতি পর পর কয়েকটি রাজনৈতিক কর্মসুচীতে বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর লকেটকে তাঁদের রাখি পরাতে বলার সিদ্ধান্তে সৌজন্য ছিল না রাজনীতি? বিজেপির বক্তব্য, রাজনীতিকরা যা করেন তার মধ্যে রাজনীতি থাকতে পারে। দেখতে হবে সেটা কোন স্তরের রাজনীতি। রাজনীতির ময়দানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ থাকলেও, সামাজিক ভাবে তাঁরাও বন্ধু। এমন বার্তাই দিতে চেয়েছিলেন দিলীপ-লকেট। যাই হোক, লকেটকে দেখেই লালবাজারের গেটে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা প্রথমেই হতচকিত হয়ে পড়েন। একজন পুলিশ কর্মী এসে তাঁকে বলেন, ম্যাডাম আজ আবার কোন কর্মসূচি আছে ? উত্তরে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বলেন , না না আমি পুলিশ কর্মীদের রাখি পরাতে এসেছি। তারপরেই লকেট ঐ পুলিশ কর্মীকে হাতজোড় করে নমস্কার করে সৌজন্য সারেন। পাল্টা পুলিশ কর্মীরা বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। এর পরেই চিত্র নাট্যের টানটান থ্রীলার। লকেটের হাত থেকে রাখি পরতে লালবাজারের গেটে থাকা সব পুলিশ কর্মী অস্বীকার করেন। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বারবার অনুরোধ সত্বেও একজন পুলিশ কর্মীও তাঁর হাত থেকে রাখি পরেননি। এরপর লকেট সোজা চলে যান রাজভবনে রাজ্যপালের হাতে রাখি পরাতে। লালবাজারের ঘটনা কানে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তাঁর অভিযোগ তৃনমুলের চাপেই সামাজিক অনুষ্ঠান ভুলতে বসেছে লালবাজার। এই ঘটনাই প্রমান করে শাসক দলের দাসে পরিণত হয়েছে লালবাজার।