কমলেন্দু সরকার :
কংসের কানে বাজে কেবলই— তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে। তাই মনে শান্তি নেই। শত্রুর খোঁজে দিন কাটে। সেই নবজাত শিশু কোথায়! সেই শিশুকে খোঁজার ভার দিলেন পূতনাকে। সে এক ভয়ংকর রাক্ষস।
পূতনা খুঁজে বেড়ায়। ইতিমধ্যে বহু শিশুকে স্তন্যপান করানোর অছিলায় হত্যা করেছে সে। একদিন খোঁজ পেল নন্দরাজার বাড়ির এক নবজাতকের। পূতনা গেল নন্দগৃহে এক সুন্দরী রমণীর রূপ ধরে। আলাপ জমিয়ে ফেলল পূতনা অন্দরমহলে। তারপর স্তন্যপান করানোর পালা। যে-কারণে তার আগমন নন্দগৃহে। পূতনার স্তনে ছিল বিষ মাখানো। কৃষ্ণ শিশু তো কী! সে তো মানব দেহে ভগবান।
পূতনা বিষসমেত স্তন্যপান করানো মাত্রই আঁৎকে উঠল। শ্রীকৃষ্ণ পান করতে লাগল। আসলে শ্রীকৃষ্ণ প্রাণরস পান করতে লাগল পূতনা। শ্রীকৃষ্ণের হাতে মারা গেল পূতনা। দেখা গেল পূতনার ভয়ংকর প্রকৃত রূপ! সকলেই অবাক শিশু কৃষ্ণের কাণ্ডে! হইহই ব্যাপার ব্রজধামে!
পূতনা রাক্ষসীর বিশাল শরীর টুকরো টুকরো করে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হল। চিতার আগুনের ধোঁয়ায় সুন্দর গন্ধ আসতে লাগল সকলের নাকে। সবাই অবাক! আসলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্পর্শে পুণ্য করেছিল পূতনা এটা তারই ফল।পূতনা বধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রূপধারী দানব নিধনে শ্রীকৃষ্ণের অমিতসাধারণ শক্তির পরিচয় আছে। আছে শ্রীকৃষ্ণের বহু অলৌকিক কীর্তি।