নীল রায়:
শেষ পর্যন্ত কি তৃণমূল থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে সব্যসাচী দত্তকে?
এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। ঘটনাচক্রে শনিবার বিধাননগর বিধানসভা এলাকার কর্মী সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। যেখানে গরহাজির ছিলেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র সব্যসাচী দত্ত। এই কর্মী সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক তথা দমকল মন্ত্রী বলেন, “দলের সক্রিয় কর্মী সুপ্রিয়। এবার তাঁকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে লোকসভা ভোটে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিনের কর্মী হিসেবে সুপ্রিয়র সুনাম রয়েছে। আশাকরি দলের দেওয়া দায়িত্ব যথাযথ ভাবে ও পালন করবে।”
বিধাননগরের রাজনীতিতে সুপ্রিয় মজুমদার একটি পরিচিত নাম। তাঁর পরিচয় সুজিত অনুগামী হিসেবেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেয়র সব্যসাচী দত্তকে সরিয়ে দিচ্ছে দল? এমন প্রশ্নের উত্তরে সুজিত বলেন, যিনি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি অন্য একটি এলাকার বিধায়ক। তিনি সেখানে ব্যস্ত থাকবেন। তাই সুপ্রিয় মজুমদারকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হল।”
প্রসঙ্গত, বাড়িতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে লুচি-আলুর দম খাওয়ানোর পর সব্যসাচী দত্তর ওপর আর আস্থা রাখতে পারছে না দল। দলের কাছে খবর, ৩ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশের দিন নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সব্যসাচী। যদিও বারংবার সব্যসাচী তার বিজেপিতে যোগদানের জল্পনায় জল ঢেলে চলেছেন। কিন্তু, তাঁর বক্তব্যে আর আস্থা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। তাই বারাসাত লোকসভার অন্তর্গত বিধাননগর বিধানসভা এলাকার ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। সব্যসাচী দত্ত বর্তমানে রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক। যে বিধানসভাও বারাসত লোকসভার অন্তর্গত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে নিজের ওয়ার্ড থেকে ভোটের দায়িত্বে সরিয়ে দেওয়ার পর রাজারহাট নিউটাউনেও কী একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে?
এমন প্রশ্ন কোনও উত্তর দিতে চাননি দমকল মন্ত্রী। তবে সব্যসাচীকে নিয়ে দলের অভ্যন্তরে যে গরম হাওয়া বইছে তা বোঝা যাচ্ছ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।