চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
কানপুরে আট পুলিশ কর্মীর হত্যা করার পর থেকেই সারা দেশের সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের (Vivek Dubey) নাম। টানটান উত্তেজনার শেষে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ীনি থেকে গ্রেফতারের পর কানপুরে ফিরিয়ে আনার পথেই তাঁর এনকাউন্টারের খবরেও দেশের রাজনীতি। তাঁর এনকাউন্টারের (Encounter) আঁচ স্পর্শ করেছে বাংলার রাজনীতিকেও। এনকাউন্টারের সমালোচনা করে তৃণমূল শিবির থেকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন পরিচালনাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতারা। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) একযোগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সমালোচনা করেছেন। রবিবার উত্তরপাড়ায় এক দলীয় অনুষ্ঠান এসে সেই প্রসঙ্গেই এক প্রশ্নের জবাবে দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাহুল সিংহ। তিনি বলেন, “এনকাউন্টার হয়েছে কিনা সেই বিতর্কে যাব না। তবে দস্যুর শাস্তি যা হওয়া উচিত তা হয়েছে। আটজন পুলিশকে গুলি করে মারল তখন যাদের দেখা যায়নি। অথচ এখন বিকাশ দুবের জন্য তাঁরা গলা ফাটাচ্ছেন। কই আটজন পুলিশ হত্যার সময় তো গলা ফাটায়নি।”
শ্রীরামপুরের তৃণমূল (TMC) সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে রাহুল বলেছেন, “তখন কল্যাণ ব্যানার্জীরা কোথায় ছিল। যে আটজন পুলিশকে হত্যা করে তাঁকে এনকাউন্টারে মারল না, সাজিয়ে মারল কোনও তফাত নেই। দস্যুকে কড়া শাস্তি দেওয়া কোনও অপরাধ নয়। যদি ওকে কোর্টে হাজির করা হত আগের অপরাধ গুলোর মত ছাড়া পেয়ে যেত।” তাঁর মতে, “চোর গুন্ডা লুঠেরা সমাজ বিরোধী সব তৃনমূলে সেল্টার নিয়েছে। তাই তৃনমূল বিকাশ দুবের পক্ষেই যাবে, আইনের পক্ষে যাবে না। ইতিমধ্যেই অনেক পুলিশের ওপর ওরা হামলা হয়েছে। কিন্তু আমরা আইন রক্ষকদের ওপর হামলা করার পক্ষে নই।” বিজেপির এই কেন্দ্রীয় সম্পাদকের কথায়, “আইনের রক্ষকদের ওপর বিকাশ দুবে যেভাবে হামলা চালিয়েছে তাঁকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।” কিন্তু, এনকাউন্টারের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, কেন আদালতকে এড়িয়ে এভাবে চরমপন্থার পথ বেছে নিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ? সেই সব প্রশ্নের মধ্যেই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাহুল সিংহ (Rahul Sinha)।