কমলেন্দু সরকার :
আগামী পরশু অর্থাৎ ৬ জুন দিল্লিতে বসছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারাও। থাকবেন সনিয়া গান্ধী। এই মিটিংয়েই নাকি রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি করা হবে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ১৯৯৮-এ সীতারাম কেশরিকে সরিয়ে সভাপতি করা হয়েছিল সনিয়া গান্ধীকে। প্রায় কুড়ি বছর সামলালেন সভাপতির পদ। বর্তমানে তাঁর শরীর খুব-একটা ভালও যাচ্ছে না। এমনকী বিদেশ থেকে চিকিৎসাও করে এসেছেন।
অনেক দিন ধরেই রাহুল গান্ধীকে সভাপতি করা হোক এমন দাবি উঠে আসছিল কংগ্রেসের অন্দরমহল থেকে। কেউ কেউ তো প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, রাহুলকে এখনই সভাপতি করা হোক। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে ঐক্যের চেষ্টা রাহুলই চালাচ্ছেন। দু’বছর বাদে লোকসভা নির্বাচন। ২০১৯-এর এই নির্বাচনে বিজেপিকে আটকাতে এই ঐক্য বা জোটের খুবই প্রয়োজন। সেই দায়িত্ব কংগ্রেস দিতে চাইছে রাহুলের হাতেই। তাই আগামী পরশু এআইসিসি-র বৈঠকে রাহুল গান্ধীর নামের পাশে কংগ্রেস সভাপতির শিলমোহর পড়তে চলেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
এখন দেখার নেহরু-গান্ধী পরিবারের ম্যাজিক আর কাজ করে কিনা! কেননা, মোদী ম্যাজিকে আমাদের দেশে পরিবারতন্ত্র প্রায় খতম হতে চলেছে। তাছাড়া রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাহুল গান্ধীর নাম খুব-একটা কাজ করেনি বিগত নির্বাচনে। এমনকী উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ-রাহুল রোড শোয়ে যত মানুষ ছিলেন সেই ভোট ইভিএম মেশিনে পড়লে আজ উত্তরপ্রদেশের চিত্রটাই পালটে যেত!