ওয়েব ডেস্ক
সব নাটকের অবসান। অবশেষে কাজে এল কংগ্রেসের টিপস। 44 জন বিধায়ককে সেফ শেল্টারে রাখার ফল পেল কংগ্রেস। মঙ্গলবার মধরাতে টানটান থ্রিলারের পর মোদি অমিত শাহের বিজয় রথ থামিয়ে গুজরাত থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়ী হলেন সনিয়া গান্ধির রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল। কার্যত সাত ঘন্টার লড়াইয়ের পর রাজ্যসভা নির্বাচনে বাজিমাত কংগ্রেসের। মোট চুয়াল্লিশটি ভোট পেয়েছেন আহমেদ প্যাটেল। অপর দিকে প্রত্যাশিত ভাবেই গুজরাতের অপর দুটি আসন থেকে জয়ী হয়েছেন মোদির বিশস্ত সেনাপতি অমিত শাহ ও স্মৃতি ইরানি। দুজনেরই প্রাপ্ত ভোট ছেচল্লিশ। তবে এদিন ভোট শেষ হওয়ার পরই বিজেপির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ভোট দেওয়ার পর তাদের দুই বিধায়ক অমিত শাহকে দেখিয়েছেন বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। অভিযোগ অস্বীকার করেন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর দুই দলই দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশনের। গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধ থাকে গণনা। অবশেষে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিভিন্ন ধারা ও অতীতে সুপ্রিম কোর্টের রায় তুলে দুই কংগ্রেস বিধায়কের ভোট বাতিলের কথা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই জয় কংগ্রেসের তিক্ত জয় বলে কটাক্ষ করেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। কংগ্রেসে ভাঙ্গন স্পষ্ট বলেও দাবি করেন তিনি। তবে, গুজরাত থেকে রাজ্যসভার আসন যেভাবে দখলে রাখল কংগ্রেস তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। অস্তিত্ব সংকটে পড়ে কংগ্রেসের এই নাটকীয় জয় কতটা প্রভাব ফেলবে আসন্ন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে? এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।
লাইক শেয়ার ও মন্তব্য করুন
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন