সূর্য সরকার।
ফের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শনিবার সকালে রাজভবনের এক অনুষ্ঠানে নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিকৃত মনস্ক বলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, “উনিতো সূর্য ডুবলেই টুইট, সূর্য উঠলে টুইট করেন। রাজ্যপাল সম্পর্কে সবটা আমি ইগনোর করতে চাই। উনি এখন ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন”। বেহালার ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ‘দিদিকে বলো’ অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) রাজ্যপাল সম্পর্কে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন।
রাজ্যপালকে আক্রমণ করে এদিন তৃণমূল মহাসচিব বলেন, “উনি অনেক কথা বলছেন। ওনার মনে রাখা উচিত আমাদের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা। আমরা যে সংস্কৃতি বিশ্বাস করি সেখানে নারীর সম্মান সবার উপরে। কিন্তু নিজে যে কথাগুলো বলছেন সেগুলো সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয়।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “বিকৃত মস্তিষ্ক আমার না ওনার সেটা মানুষ বিচার করবে। তবু তো আমার মস্তিষ্ক কাজ করে কিন্তু ওনার কোন মস্তিষ্ক আছে বলে তো আমার মনে হয় না।”
অন্যদিকে রাজ্যপালের স্ত্রীকে নিয়ে করা একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি আবারও বলছি আধিকারিকদের সঙ্গে যখন বৈঠক হবে সংবিধানের কোথাও লেখা নেই সেই আধিকারিক অন্য কাউকে ডাকতে পারে। আপনি শিলিগুড়ি দেখুন ডায়মন্ডহারবার দেখুন আধিকারিকরা কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে কাউকে ডাকতে পারে সেটা দেখা যায় না। আমার স্ত্রী যতদিন ছিল কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে আমি কোনদিনও নিয়ে যায়নি। আমন্ত্রণ জানালে সে নিচে গিয়ে বসে থাকতো। আমন্ত্রণ জানানো শেয়ারিং করা এক নয়। আমি রাজ্যপালের স্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি তাঁর প্রতি আমি কেন কটাক্ষ করতে যাব কেন! উনি দুর্গাপূজার ভাসান ২৬ জনকে নিয়ে বসে থাকলেন আমরা কি তাতে কিছু বলেছি। এই বিষয়টা পুরোপুরি ওনার ব্যক্তিগত। উনি যদি মনে করেন ঠিক কাজ করেছেন করবেন।” তিনি আরও বলেন, “টুইট করা বন্ধ রাখুন, বাংলার বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ রাখুন, সূর্য উঠলে একবার টুইট, ডুবলে ৫ বার টুইট। রাজ্যকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা নিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করুন।”