নীল বণিক :
দলের একের-পর-এক নেতারা সিআইডির জালে। আর তাতেই বিড়ম্বনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জলপাইগুড়ির শিশু চুরি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে জুঁই চৌধুরীর। সেই বিতর্ক অন্তরালে যেতে না যেতে ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল বসিরহাট জেলার বিজেপি সভাপতি।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার নাম করে নাকি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। যা নিয়ে সিআইডি তদন্তে নামার পরই সোমবার রাতে সিআইডির জালে বিজেপি নেতা গণেশ জয়সওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ইন্ডিয়ান ওয়েলের তেলের ট্যাংকার থেকে নাকি তেল চুরি করতেন।
সোমবার রাতে কলকাতা স্টেশন থেকে বিজেপি নেতা গণেশ জসওয়ালকে গ্রেফতার করে সিআইডি। বেহালার বাসিন্দা এই বিজেপি নেতা মূলত হাওড়ার সাঁকরাইলে বেআইনি তেলের কারবার চালাতেন। বিজেপির বস্তি উন্নয়ন কমিটির দীর্ঘ দিনের সদস্য ছিলেন ধৃত গণেশ। তার গ্রেফতারের পরই মুখ বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য দলের সব সদস্যের ব্যাপারে ব্যাক্তিগতভাবে খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি এও বলেন, আমার সঙ্গে কেউ ছবি তুললেই সে আমার দলের লোক হয়ে যায় না।
রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের পর দলের অন্দরে তাঁর বিরোধীরা মুচকি হাসছেন। তাঁদের বক্তব্য কয়েকদিন আগেই দিল্লি থেকে কড়া ভাষায় চিঠি আসে দিলীপ ঘোষের কাছে। সেই চিঠিতে বলা হয় দলের কেউ দলের নেতাদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ আনলে দলকেই তা তদন্ত করতে হবে। সূত্রের খবর সিআইডির হাতে ধৃত এই তেল মাফিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েক জন নেতা অভিযোগ করেছিলেন। স্বভাবতই এই ঘটনার পর উচ্ছ্বসিত দিলীপ ঘোষের বিরোধীরা।