চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো
Mamata এখনও vaccine নেন নি, Modi নিয়েছিলেন co vaccine… গবেষণা বলছে, antibody তৈরিতে বেশি কার্যকরী covisheild…
দেশে করোনার টিকাকরণ শুরুর মুহূর্ত থেকেই একটা প্রশ্ন সকলের মুখে মুখেই প্রায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। করোনার সংক্রমণ রুখতে কোভ্যাকসিন ভালো না কোভিশিল্ড?
কেউ কেউ আবার সরাসরি চিকিৎসকদের থেকেই এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য টিকার এই বিপুল ঘাটতির মধ্যেই যে যা টিকা পেয়েছে তাই নিয়েই নিজের মতো করে সান্ত্বনা খুঁজে নিয়েছে।
এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এলো এক চাঞ্চল্যকর গবেষণালব্ধ তথ্য। কোভিভিশিল্ড নিলে নাকি কোভ্যাক্সিনের তুলনায় তৈরি হচ্ছে বেশি করে অ্যান্টিবডি। গবেষকদের জানানো হয়েছে, ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন একাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁদের মধ্যে কেউ নিয়েছিলেন কোভিশিল্ড এবং কেউ কোভ্যাক্সিন।
তাঁদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির ভিত্তিতে এই পরীক্ষা করা হয়। সেই গবেষণাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দুই প্রতিষেধকই করোনাভাইরাস আটকাতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে যথেষ্ট সক্ষম। কিন্তু পার্থক্য তৈরী হচ্ছে অ্যান্টিবডি উৎপাদনের সংখ্যায়।
প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে কোভিশিল্ডের প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি হয় ৭০ শতাংশ। সেখানে কোভ্যাক্সিনের কার্যক্ষমতা ধরা পড়ে ৮১ শতাংশ। কিন্তু পার্থক্যটা তৈরি হয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয় ডোজের পরে।
এই গবেষণায় মোট ৫১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ৪২৫ জন কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন, বাকিরা কোভ্যাকসিন। কিন্তু যারা কোভিশিল্ড নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৯৫ শতাংশের শরীরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অনেক বেশি সংখ্যায় অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে।
দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের পরে শরীরে তৈরি হচ্ছে ৯৮.১ শতাংশ অ্যান্টিবডি। সেখানে কোভ্যাকসিনে পাওয়া যাচ্ছে ৮০ শতাংশ। এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি গবেষকদের।তারা আরও জানাচ্ছেন, দুই প্রতিষেধকেরই রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে। তবে অ্যান্টি-স্পাইক অ্যান্টিবডি তৈরির তারতম্য দেখা গিয়েছে।