নীল বণিক
মুকুল রায় বা শুভ্রাংশু রায় নয়, কাঁচড়াপাড়া জুড়ে এখন রাজ করছেন কেশব চন্দ্র নাগ! রাজ করছে তাঁর বই থেকে উঠে আসা পিতাপুত্রের অঙ্ক! তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর লড়াইকে কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন মুকুল রায়। কয়েকদিন আগে শুভ্রাংশু বলেছেন, তাঁর রাজনৈতিক সত্ত্বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নিবেদিত আর পারিবারিক সত্ত্বা তাঁর পরিবার ও পিতা মুকুল রায়ের জন্য। মুকুল রায় কয়েকদিন আগে পর্যন্ত শুধুমাত্র তাঁর পিতা ছিলেন না নেতাও ছিলেন। এখন শুধুই পিতা।
তাই শুভ্রাংশুর রাজনৈতিক সত্ত্বা পিতার বিরুদ্ধে লড়াইতে অবতীর্ণ হয়েছে কাঁচড়াপাড়ায়।
বীজপুর বিধানসভা অঞ্চলে তৃণমূলর ছোট বড় মিলিয়ে কমবেশি প্রায় সত্তরটি অফিস আছে। এতদিন অবশ্য এই অফিস গুলির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন মুকুলপুত্র তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। নয়াদিল্লিতে মুকুল বিজেপিতে যোগ যোগদান করার পরেই কাঁচরাপাড়াতে মুকুল অনুগামীরা বাগের মোড়, চ্যালেঞ্জ মোড় সহ বেশ কয়েকটি অফিসে তৃনমুলের পতাকা খুলে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেয়। শুভ্রাংশু রায়ের কাছে এই খবর পৌঁছতেই তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিজেপির পতাকা নামিয়ে ফের তৃনমুলের পতাকা তুলে দেন। এমনকি নিজের বিশ্বস্ত অনুগামীদের হাতে দলীয় অফিসের দায়িত্ব দিয়ে, তবেই এলাকা ছাড়েন। অফিস দখলের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি মুকুল রায়ের বাসভবনও। সেখানে অবশ্য দু’পক্ষের মধ্যে একটি মধ্যস্থতা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মুকুল রাযের বাসভবনের অফিসটি এবার ভাগ হচ্ছে। একটিতে বসবেন পিতা, আর অন্যটিতে বসবেন পুত্র।
কাঁচরাপাড়ার স্থানীয়রা অবশ্য পিতাপুত্রের এই লড়াই উপভোগ করছেন। নতুন করে হাতেকলমে শিখছেনও পিতাপুত্রের অঙ্ক! তাদের বক্তব্য এখন নিজেদের মত প্রকাশের সময় আসেনি। শুধু দেখে যাচ্ছি। যা শিখব আর যা বুঝব তা বুঝিয়ে দেব আগামি লোকসভা নির্বাচনে! বোতাম টিপেই বলব যা বলার!
এদিকে রায়বাড়িতে এতদিন জোড়াফুল তো ছিলই, এবার তারই পাশাপাশি মাথা তুলতে চলেছে শতদল!
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan