নিজস্ব প্রতিনিধি :
বৃন্দাবনের নিধিবন। অরণ্যঘেরা এই মন্দিরে রয়েছে রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ। এখানে তাঁকে বলা হয় বাঁকেবিহারী। তবে সন্ধে নামলেই বদলে যায় মন্দির এলাকা। অন্ধকার নামলেই বন্ধ হয়ে যায় দরজা-জানালা। শ্রীকৃষ্ণ আজও লীলা করেন রাধা এবং গোপিনীদের সঙ্গে! মন্দিরের চারপাশের গাছগুলোই নাকি রাতের বেলা গোপিনীর রূপ ধারণ করে।
সন্ধ্যা আরতির পরই সব জানালা-দরজা বন্ধ করে সকলকে বাইরে চলে যেতে অনুরোধ করা হয়। পুণ্যার্থী এবং ভ্রমণপ্রেমীরা চুপচাপ বাইরে চলে যান। সন্ধে থেকে পরদিন সকাল সকলেরই প্রবেশ নিষেধ। শ্রীকৃষ্ণের এই লীলা কাউকেই দেখতে দেওয়া হয় না। কৃষ্ণের এর রাসলীলা দেখা বারণও বটে। প্রচলিত আছে, অতি উৎসাহী অনেকেই দেখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দেখা গেছে কাউকে পাওয়া গেছে মৃত অবস্থায়, আবার কাউকে দেখা গেছে উন্মাদ অবস্থায় ঘুরছেন। সন্ধে বেলা দেওয়া পান, মিষ্টি, শাড়ি, চুড়ি সব এলোমেলো হয়ে আছে চারপাশে। কখনও কখনও দেখা গেছে পান, মিষ্টি উধাও! মানুষের বিশ্বাস রাধা, কৃষ্ণ, গোপিনীরা এইসব ব্যবহার করেন।
শোনা যায়, বৃন্দাবনের মানুষের ভক্তি আর কৃষ্ণপ্রেমই রাধা-কৃষ্ণ আর গোপিনীদের টেনে আনে এই নিধুবনে। অনেকেই নাকি রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেছেন পারেননি! যাকে বলে বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা মেলে না!