চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
আগামী বৃহস্পতিবার বিশ্বকর্মা পুজো (Viswakarma Puja)। ইতিমধ্যে কলকাতার যদুবাবুর বাজারে বিক্রি হচ্ছে বিশ্বকর্মার মূর্তি । এদিন সকাল থেকেই অনেক মানুষকেই বিশ্বকর্মার মূর্তি কিনতে দেখা গেল। কারণ শেষ মুহূর্তে যদি ঠাকুরের মূর্তি না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে । তবে এ বছর ব্যবসায়ীরা মনে করেছিলেন লকডাউনের প্রভাব বিশ্বকর্মা পুজোর বাজারে পড়তে পারে। কিন্তু সকাল থেকে বিশ্বকর্মার মূর্তি বিক্রি বেশ ভালোই। তাঁদের ধারণা, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাব থাকলেও ইতিমধ্যে শহর কলকাতা সবকিছু খুলে গেছে। মেট্রোও চলাচল করছে। ফলে জেলা কলকারখানা সচল হওয়ায় মূর্তি কেনার পরিমাণ বেড়েছে।
দীর্ঘ লকডাউন থাকার ফলে যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল তা অনেকটাই দূর হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রসঙ্গত হিন্দু ধর্মে সব দেব-দেবীরই পুজোর তিথি স্থির করে হয়। চন্দ্রের গতি প্রকৃতির ওপরেই। এ বিষয়ে চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বিশ্বকর্মার পুজোর তিথি স্থির হয় সূর্যের গতিপ্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। যখন সূর্য সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমন করে, তখনই সময় আসে উত্তরায়ণের। দেবতারা নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন এবং শুরু হয় বিশ্বকর্মার পুজোর আয়োজন। হিন্দু পঞ্জিকার দুই প্রধান শাখা সূর্যসিদ্ধান্ত এবং বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত- উভয়েই এ বিষয়ে একমত। আরও একটু স্পষ্ট করে বলতে হলে, বিশ্বকর্মার পুজোর দিন ভাদ্র মাসের শেষ তারিখে নির্ধারিত।
এই ভাদ্র সংক্রান্তির আগে বাংলা পঞ্জিকায় পাঁচটি মাসের উল্লেখ মেলে। এই পাঁচটি মাসের দিন সংখ্যাও প্রায় বাঁধাধরাই- সাকুল্যে ১৫৬টি দিন! এই নিয়ম ধরে বিশ্বকর্মা পুজোর যে বাংলা পঞ্জিকা মতে তারিখটি বেরোয়, তা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৭ সেপ্টেম্বরেই পড়ে। কোনও কোনও বছরে এই পাঁচ মাসের মধ্যে কোনওটা যদি ২৯ বা ৩২ দিনের হয়, একমাত্র তখনই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পিছিয়ে বা এগিয়ে যায়। তবে তা খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা। তবে এ বছর করণা আবহের মধ্যেই পূজিত হবে বিশ্বকর্মা। মহা সমারোহে পুজো না করা গেল সর্বত্র পূজিত হবে বিশ্বকর্মা, এমনটাই আশা করছেন অনেকেই।