চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
১ জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই নির্দেশের ঠিক একদিন পরেই হিন্দু সম্প্রদায়ের সব মন্দির কর্তৃপক্ষই জানিয়ে দিয়েছে এই নির্দেশ মানছেন না তারা। কমপক্ষে আরও দুই সপ্তাহ মন্দির বন্ধ রাখার পক্ষপাতী মন্দির কমিটির সেবায়েতরা। সম্প্রতি প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও দুই সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হতে পারে লকডাউন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন আলোচনা ও কানে গিয়েছে মন্দির কমিটিগুলির। তাই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বড় মন্দির বন্ধ থাকবে আগামী দুই সপ্তাহ।
১ জুন থেকে ইসকন (ISCON) খুলছে না। সেবায়েতরা উপস্থিত নেই, তাদের ফিরতে সময় লাগবে। মন্দির স্যানিটাইজ থেকে ভক্ত সমাগমের বিষয়টি কিভাবে হবে তা বিবেচনা করে আরও ১২ থেকে ১৩ দিন পর চুড়ান্ত সিন্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন ইসকনের মুখপাত্র রাধারমণ। কলকাতার সঙ্গে মায়াপুরের ইসকন মন্দির বন্ধ থাকবে এই সময়কালে। ইতিমধ্যে মন্দির না খেলার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন দক্ষিণেশ্বর (Dakshinewar) মন্দির কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণেশ্বরের নদীর অপর প্রান্তের বেলুড় মঠও একই পথের পথিক হয়েছে। বেলুড় মঠ (Belur Math) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে তারা এখনই মন্দির খুলবে না।
শুধুমাত্র বেলুড় দক্ষিণেশ্বর কিংবা ইসকনে নয়, আদ্যাপীঠ, তারাপীঠ এবং কালীঘাটের (Kalighat) মা কালীর মন্দিরও বন্ধ থাকবে বলেই জানিয়েছে মন্দির কমিটি। প্রসঙ্গত, যে সরকারি নির্দেশিকায় ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার কথা বলা হয়েছে। তাতে মন্দির স্যানিটেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্দির কমিটিগুলিকেই। কালীঘাট মন্দির কমিটির এক কর্তা জানিয়েছেন, আমাদের কাছে মন্দির স্যানিটাইজ করার পরিকাঠামো নেই। তাই ১ জুন মন্দির খোলা যাবে না বলেই মনে হচ্ছে। এছাড়া শুধু মন্দির খোলাই নয়, পরবর্তী সময় মন্দিরে এসে যাতে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হন, সেই বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কালীঘাট মন্দিরের সমস্ত কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার পরেই মন্দির কবে খোলা হবে, বা আদৌ খোলা হবে কিনা, তা নিয়েই সিদ্ধান্ত হবে। মন্দির কমিটিগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র একবার স্যানিটাইজ করলেই চলবে না। এরপর মন্দিরে পাকাপাকিভাবে স্যানিটারি স্টানেল ও থার্মাল চেকিংয়ের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। তাই এই সমস্ত পরিকাঠামোগত উন্নয়নের আগে কোনও মন্দির কমিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মানতে পারছে না বলেই জানা গিয়েছে।