ওয়েব ডেস্ক:
দ্বিতীয় দফার ভোটে নিরাপত্তায় আরও জোর। বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। কমিশন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফার ভোটের আইনশৃঙ্খলা দেখবে একশো কোম্পানির বেশি আধাসেনা। বাইরে থেকে আনা হচ্ছে আরও ৪০ কোম্পানি বাহিনী।
১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট। ওই দিন ভোট হবে পাহাড়ের দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। সেইসঙ্গে জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রটি নিয়ে যুযুধান তৃণমূল-বিজেপি। বর্তমানে সেখানেই গলা ফাটাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্টো দিকে অমিত শাহ গতকালই সভা করে গেছেন কালিম্পং-এ। সাম্প্রতিক অতীত পাহাড়ের রাজনীতিতে বিরাট অদল বদল ঘটেছে। দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে মোর্চা নেতারা। বিনয় তামাং-কে পাহাড়ের মুখ করে তুলতে চাইছে শাসক দল। অন্যদিকে রয়েছে বিক্ষুদ্ধ ‘পলাতক’ বিমল গুরুঙ্গ। এমন পরিস্থিতিতে পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাট করতে তৎপর কমিশন। প্রথম দফার ভোটে ব্যবহার করা হয়েছিল ৮৩ কোম্পানি বাহিনী। সেখানে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে রাজ্য আসছে আরও ৪০ কোম্পানি আধাসেনা। অর্থাৎ, দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই রাজ্যে মোতায়েন করা হবে মোট ১২৩ কোম্পানি বাহিনী। এরমধ্যে স্ট্রং রুম, ভোটের পরবর্তী হিংসার কথা মাথায় রেখে কিছু বাহিনী থাকবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারেও। বাকি বাহিনী ব্যবহার করা হবে দ্বিতীয় দফা ভোটের জন্য। ৩ কেন্দ্র মিলিয়ে দ্বিতীয় দফার বুথ সংখ্যা ৫৩৯০টি।
উল্লেখ্য, প্রথম দফার ভোটের পর গতকাল স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার বিবেক দুবে বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে, সহযোগিতা করেছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু রাজ্য পুলিশে যে সম্পূর্ণত আস্থা নেই কমিশনের, সেকথা প্রমাণ করেই দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। বিরোধীদের দাবিকেই এক্ষেত্রে মান্যতা দেওয়া হল।