নীল বণিক
একটা সময় ছিল যখন নিত্যদিন মাওবাদীদের দাপটে অশান্ত থাকত জঙ্গলমহল। যে জন্য জঙ্গলমহলে মোতায়েন হয় সিআরপিএফ । তবে মাও নিধনে সিআরপিএফকে আরও শক্তিশালী করতে বানানো হয় কোবরা বাহিনী। যারা শক্তিতে ও অস্ত্র সজ্জায় সিআরপিএফকেও টেক্কা দেয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে টাঁকশাল এর কাছেই রয়েছে ২০৭ কোবরা বাহিনীর হেড কোয়ার্টার্স। বর্তমানে এই রাজ্যের জঙ্গলমহল শান্ত। মাওবাদীদের কার্যকলাপ সীমান্ত-এলাকা ছাড়া এ রাজ্যে তেমন নেই । তবে এখনও মাঝেমাঝে জঙ্গলমহল থেকে উদ্ধার হয় ল্যান্ডমাইন বা বিস্ফোরক । আর জঙ্গলে বিস্ফোরক উদ্ধারে সর্বাগ্রে যাদের ডাক পড়ে , তা হল এই ২০৭ কোবরা বাহিনীর ডগ স্কোয়াড।
বেলজিয়াম শেপার্ড এর ৩ টি কুকুর রয়েছে কোবরার এই ডগ স্কোয়াডে। অন্যান্য প্রজাতির কুকুরের তুলনায় এই প্রজাতির কুকুর অনেক বেশি তীক্ষ ও আক্রমনাত্মক বলে দাবী সিআরপিএফ-এর। শুধুমাত্র এ রাজ্যেই নয়, বিহার, ঝাড়খন্ডের মাও অধ্যুষিত এলাকাতেও ডাক পড়ে এই কোবরার ডগ স্কোয়াডের। ঘটনাস্থলে পৌছলে নিমেষে মাইন , বিস্ফোরক বা অস্ত্র খুজতে পারদর্শী এই স্কোয়াডের কুকুরগুলি। এদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে আলাদা ট্রেনার। রয়েছে থাকার আলাদা স্থান , সময়মতো খাওয়ানো ও দেখভালের ব্যাবস্থা। এই ডগ স্কোয়াড এ থাকা ৩ জনের নাম ক্রিস্পি, এমি ও ড্রিজি। কোবরার হেড কোয়ার্টারের মধ্যেই রয়েছে এদের নিজস্ব কেনেল। এদের মধ্যে দুটিকে বর্তমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিহারে। ২৪ ঘন্টা ট্রেনারদের নজরদারীতেই থাকে এরা। এদের তীক্ষতার জন্যই জঙ্গলমহলে মাইন খুঁজতে কোবরাবাহিনী এদের ব্যাবহার করে বলে জানিয়েছেন ২০৭ কোবরার কমান্ডিং অফিসার অবদেশ কুমার ধ্যায়নী। তিনি আরও জানান , তাদের ডগ স্কোয়াড এখন তাদের বাহিনীর মতোই জঙ্গলমহলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan