চ্যানেল হিন্দুস্থান, নিউজ ডেস্ক-
ভাঙড়ের হাতিশালায় আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার হলো আরও তিন। বৃহস্পতিবার রাতে কাশীপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে, এই নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০।
এই ঘটনায় এর আগে তিন দফায় গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ, প্রথমে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে, এরপর প্রথমে একজন, পরে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়,এবার আরও তিনজনকে ধরা হল।
গত শনিবার, ২১ জানুয়ারি তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়ের হাতিশালা। আর সেদিন ছিল আইএসএফের প্রতিষ্ঠাদিবস, তা উপলক্ষে রানি রাসমণি রোডে ছিল তাদের ছিল অনুষ্ঠান, সেখানে চলে শাসকদলের তান্ডব।
ISF অভিযোগ করেন , সকালে ট্রাকে করে আইএসএফ কর্মীরা যখন কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাদের উপর চড়াও হয়, সঙ্গে ট্রাকে হামলা চালানো হয়। আর সেই অভিযোগের তির ওঠে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বাহিনীর ওপর।
এই ঘটনার জেরে, কাশীপুর থানা ও কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই সংঘর্ষের দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ও সংগৃহীত ভিডিও দেখে শনাক্ত করার পর এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি, তাদেরকে আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।
পাল্টা আরাবুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাদের লোকজনের উপর হামলা করা হয়েছে। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির লোকজনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ধুন্ধুমার সংঘর্ষের শিকার দুই দলের সমর্থক।
প্রতিষ্ঠাতাদিবসের দিনই, রাজ্যের একটি মাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ি আক্রান্ত হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপরই কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি শুরু হয়।
আইএসএফের অভিযোগ, বেছে বেছে ISF কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। কলকাতার রানি রাসমণি রোডেও এই অশান্তির আঁচ পৌঁছায়, আর তাতে গ্রেফতার হন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। আপাতত তিনি লালবাজারে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত থাকতে হতে পারে।