ওয়েব ডেস্কঃ-
শিশুদের সমানাধিকারে বিশ্বাসী করে তুলতে হবে। যাতে করে তারা বাড়ীর পুরুষ মানুষটিকে যেভাবে সম্মান করে ঠিক সেভাবেই যেন সম্মান করে বাড়ির মহিলা সদস্যটিকেও। সুপ্রিম কোর্ট থেকে এমন আইনের প্রস্তাব করলেন জাজ আর ভানুমতী। তিনি জানান লিঙ্গসাম্যতাকে পাঠ্য পুস্তকের অর্ন্তগত করতে হবে।
২০১২’র ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির পাশবিক ধর্ষনের ঘটনা যা তোলপাড় করে দেয় গোটা দেশ। যার প্রেক্ষিতে একশ চোদ্দো পাতার একটি লিখিত নোটিস দেন ভানুমতী। যেখানে তিনি দিল্লি ধর্ষনকান্ডের চারজনকে ফাঁসির আবেদন জানিয়েছিলেন। যেখানে প্রতিটা ধর্ষনকান্ডের পিছনে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিকতার ছাপ। যা ছড়িয়ে রয়েছে সমাজের প্রতিটা অলিগলিতে।
একটি শিশুর বেড়ে ওঠার প্রতিটা মূহুর্তে তাকে শেখাতে হবে লিঙ্গসাম্যতা। যার সূচনা বাড়ি থেকে হলেও পাঠ্য পুস্তকেও বাধ্যতামূলক করতে হবে সেই শিক্ষা। ভানুমতী এও জানান, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ অভিভাবকদেরও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে এ বিষয়ে। প্রয়োজনে তাঁদের আলাদা করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে এই উদ্যোগ নিয়ে হবে যদি সমাজের পরিবর্তন আমরা সত্যিই চাই। সেই সঙ্গে তিনি আমন্ত্রন জানান সংবাদমাধ্যমকেও।
তিনি সুপারিশ করেন রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যানার, হোর্ডিংস, প্ল্যাকার্ডস লাগাতে হবে। শহরের বাস, ট্যাক্সি, অটো বিভিন্ন যানবাহনে তা ব্যবহার করতে হবে। যা আরো সচেতন করে তুলবে সাধারন মানুষকে।
জাজ এও বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট রাখতে হবে শহরের সুনসান এলাকায় বিশেষত পার্কস্ট্রিট চত্বরে। সঙ্গে রাখতে হবে মোবাইল অ্যাপ।
আর ভানুমতীর কথায় লিঙ্গসাম্যতা শুধুই কাগজে কলমে লিখে হবে না। যার পিছনে সাধারন মানুষের ভূমিকা থাকতে হবে যথেষ্ট।