Breaking News
Home / TRENDING / মা দুর্গা আসার আগেই আপনার দুয়ারে মমতার রেশন

মা দুর্গা আসার আগেই আপনার দুয়ারে মমতার রেশন

চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো

দুর্গা পুজোর আগেই রাজ্যে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুয়ারে রেশন পরিষেবা পেতে চলেছে পশ্চিম বাংলার মানুষ।

দুর্গা পুজোর আগেই সারা রাজ্যে ১৫ শতাংশ দোকানে শুরু হবে দুয়ারে রেশন।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুয়ারে রেশন পাইলট প্রজেক্ট চলাকালীন ক্লাস্টার ভাগ করে প্রতি মাসে, প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে রেশন দেওয়া হবে। প্রতিমাসের রেশন একবারেই পেয়ে যাবেন উপভোক্তারা। একুশের ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আমার মন্ত্রীসভা এলে মা-বোনেরা বাড়ির দুয়ারে রেশন পাবেন। কষ্ট করে আর দোকানে যেতে হবে না।’ আর এবার সেই কথাই বাস্তব রূপ পেতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত পেলেই পুরোদমে শুরু হবে এই পাইলট প্রোজেক্ট, এমনটাই জানিয়েছে খাদ্য দফতর।

কবে কোথায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প হবে, তা পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। পূর্ব নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট কোনও পাড়া, গ্রাম বা পল্লিতে খাদ্যশস্য, ই-পস এবং ওজন করার মেশিন নিয়ে হাজির হবেন রেশন ডিলাররা। উপভোক্তাদের প্রাপ্য চাল, গম, চিনি একবারেই দিতে হবে। একই পরিবারের যে কোনও সদস্যই ই-পস যন্ত্রে বায়োমেট্রিক বা আধারকার্ডের প্রমাণ দিয়ে দুয়ারে রেশনে থাকা পুরো পরিবারের প্রাপ্য খাদ্য় শস্য বাড়িতে পেতে পারেন। যদি কোনও কারনে সেই রেশন গ্রহণ করতে না পারেন, পরে সরাসরি রেশন দোকানে গিয়ে নিয়ে আসার সুযোগ থাকবে। দুয়ারে রেশন প্রকল্পে উপভোক্তা পরিবারগুলিকে ১৬ টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হবে। প্রতি ক্লাস্টারে বিতরণের জন্য প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট দিন থাকবে। মাসের প্রতম থেকে চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত মঙ্গলবার, বুধবার, শুক্রবার দুয়ারে রেশন পৌছবে। শনিবার সরাসরি রেশন দোকান থেকে রেশন দেওয়া হবে। ছুটি , আবহাওয়া বা অন্য কোনও কারণে যদি দুয়ারে রেশন বন্ধ থাকে সেক্ষেত্রে প্রাপকরা রবিবারের দ্বিতীয়ার্ধে তা পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন, বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ প্রবল বর্ষণ দুই বঙ্গে, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে কলকাতাতেও
অপরদিকে, দুয়ারে রেশন প্রোজেক্ট জন্য প্রয়োজন গাড়ি। আর এই গাড়ি কেনার জন্য অর্থ দেওয়া নিয়ে ভিন্নমত তৈরি হয়েছে। রেশন ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক থেকে ধার করা টাকায় গাড়ি কিনব না। প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ করে আমাদের পক্ষে গাড়ি কেনা সম্ভব নয়।’ যদিও ডিলারদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার গতিধার প্রকল্পের আওতায় একলক্ষ টাকা দিচ্ছে। সেই টাকাই গাড়ি কেনানোর ব্যবস্থা করে দেবে রাজ্য সরকার। আর বাকি টাকা দিয়ে যিনি গাড়ি নেবেন, তিনি তার মালিক হয়ে যাবেন। রেশন সরবারহের পাশপাশি সেই গাড়িকে অন্য সময়ে তিনি কাজে লাগাতে পারবেন। আমরা তো সেই কাজে বাধা দিতে যাব না।’

Spread the love

Check Also

চোরেদের মন্ত্রীসভা… কেন বলেছিলেন বাঙালিয়ানার প্রতীক

ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস : আজ বাংলার এবং বাঙালির রাজনীতির এক মহিরুহ চলে গেলেন। শ্রী বুদ্ধদেব …

আদবানি-সখ্যে সংকোচহীন ছিলেন বুদ্ধ

জয়ন্ত ঘোষাল : লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়িতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মধ্যাহ্ন ভোজে আসবেন। বাঙালি অতিথির আপ্যায়নে আদবানি-জায়া …

নির্মলার কোনও অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনা নেই

সুমন ভট্টাচার্য এবারের বাজেটটা না গরিবের না মধ্যবিত্তের না ব্যবসায়ীদের কাউকে খুশি করতে পারলো। দেখে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *