নিজস্ব সংবাদদাতা
ত্রিপুরায় বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের পিছনে শুধুই যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হাত রয়েছে তা নয়। এই জয়ের পিছনে সংঘের অবদান কোনও অংশে কম নয়। ত্রিপুরায় বিজেপির ভিত মজবুত করার পিছনে যাঁর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তিনি সুনীল দেওধর। দু’বছর আগে আরএসএস নেতা সুনীল দেওধরকে ত্রিপুরায় পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য- রাজ্যে বিজেপির মধ্যে সাংগঠনিক ঐক্য বজায় রাখা, বিভিন্ন প্রচারের মাধ্যমে রাজ্যের বঞ্চনার দিকগুলো তুলে ধরা। এবং নানা সাহায্যমূলক কাজের মাধ্যমে ত্রিপুরার জনগন ও আদিবাসীদের মনে জায়গা তৈরি করা। নরেন্দ্র মোদি নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের মাঝেমধ্যেই পূর্বোত্তর রাজ্যগুলিতে যেতে। সেখানে সভা ও প্রচারের মাধ্যমে জনসংযোগ গড়ে তুলতে। তবে বিজেপির জনমত তৈরি করতে শুধু মোদির জনপ্রিয়তার ওপর ভরসা করেনি দল। যে ত্রয়ী ত্রিপুরায় বিজেপির অস্তিত্ব গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন, তাঁরা রাম মাধব, সুনীল দেওধর এবং হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাম মাধব এবং হিমন্ত সারা রাজ্য ঘুরে নির্বাচনী প্রচারের স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান করেন। সেই স্ট্র্যাটেজিকে রুপায়িত করেন দেওধর। সুনীল দেওধর লোকসভা নির্বাচনে মোদির প্রচারের নেতৃত্বে ছিলেন। ত্রিপুরায় দেওধরের প্ল্যান মাফিক দূর্বল বিধানসভা ক্ষেত্রগুলিতে ছোট দলগুলির সঙ্গে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। এছাড়াও ত্রিপুরা সহ অন্যান্য উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিতে মোহন ভাগবতের মতো হেভিওয়েট নেতার উপস্থিতি জনগনকে পরিবর্তনমুখী করতে সাহায্য করেছে। গত নির্বাচনে ত্রিপুরায় একটিও আসন পায়নি বিজেপি। এবারে তা এক্কেবারে ৪০। ভোট শেয়ারও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০%। এই জয় আসন্ন কর্ণাটক নির্বাচনের আগে বিজেপিকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওভাবে জোট না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের ভাবনাধিন্তা করতে পারে বামফ্রন্ট।
