নীল বণিক
মা সারদাকে গোটা দেশ শ্রদ্ধার চোখে দেখে। আর সেই মা সারদার নামকেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে কলঙ্কিত করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রবিবার কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিটফান্ড দূর্নীতি মামলা তুলে ধরে মোদী বলেন নারদ- সারধা কাণ্ডে তৃণমূলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর জড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে নারদ মুনি সর্বত্র নারায়ণের নাম সংকীর্তন করে বেড়াতেন, তাঁর নামই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দিয়েছেন দিদি।’ রাজ্যের বিভিন্ন কেলেঙ্কারির তদন্তকে ব্যাহত করার অভিযোগে, সিবিআই যখন শীর্ষ আদালতে পুলিশকর্তা রাজীব কুমারের গ্রেপ্তারি চাইছে, সেই সময় কোচবিহারের মাটিতে এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদির মুখে উঠে এসেছে রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির কথাও।
সম্প্রতি শিলিগুড়ির নির্বাচনী সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের উন্নয়নে ‘স্পিড ব্রেকার’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এদিনের সভাতেও মোদীর সুর ছিল একইরকম আক্রমণাত্মক। রাজ্যের ‘বুয়া-ভাতিজা’ রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলায় পরিবর্তন আসেনি। আসতে পারে একমাত্র বিজেপি ক্ষমতায় এলে। এই প্রসঙ্গে পাশের রাজ্য ত্রিপুরার উদাহরণও টেনে আনেন মোদী। বলেন, ‘ত্রিপুরাবাসী দীর্ঘদিন বামেদের অরাজকতা সহ্য করেছেন। কিন্তু, তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনেনি, অপেক্ষা করেছেন।’
এদিনের জনসভায় মোদীর হাতে দোতারা তুলে দেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক।
মোদীর বক্তব্যে এদিন বারবার ফিরেছে বাংলার সংস্কৃতির কথা। ‘এক দেশ এক নিশান’-এর দাবিতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ে বলিদানের প্রসঙ্গ। দলের কর্মী-সমর্থকদের মুহুর্মুহু হাততালি আর স্লোগানই বুঝিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সুর তাঁদের কতখানি প্রাণ ছুঁয়ে গিয়েছে।