নিজস্ব সংবাদদাতা
সন্ধ্যে নামলেই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। আর যে সে গ্রহণ নয়, আজ “সুপারমুন”। এমন এক রাত যে রাতে চাঁদ চলে আসে পৃথীবীর সবথেকে কাছে।
বুধবারের চন্দ্রগ্রহণ বিজ্ঞানীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন?
এদিনের গ্রহণকে পেরেজিয়ান ব্লাডমুন বলা হচ্ছে। এর মানে কি? নাসার বিজ্ঞানীরা একে বলে থাকেন “পেরেজিয়ান ফুলমুন”। মানে যেসময় চাঁদ তার কক্ষপথে পৃথীবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসে। আর পৃথীবী থেকে চাঁদকে ১৪% বেশি উজ্জ্বল দেখায়। তারওপর এদিন চন্দ্রগ্রহণ হলে তা হবে ‘ব্লাডমুন’। ব্লাডমুন মানে চাঁদ এদিন অন্যদিনের মতো সাদা নয়, লাল। কারন হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন। যখন চাঁদ, পৃথীবী ও সুর্য একলাইনে চলে আসে তখন সুর্যের আলো সরাসরি চাঁদের ওপর পড়তে পারেনা। পৃথীবীর পাশ দিয়ে সে আলো যখন চাঁদের ওপর পড়ে তখন তা লালচে দেখায়। তাই এর নাম ব্লাডমুন। পাশাপাশি এটি তৃতীয় সুপারমুন। তাই বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপ চোখে তাক করে তাকিয়ে আকাশে।
চন্দ্রগ্রহণ
এবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে কলকাতা ও ভারতের উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলি থেকে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবশ্য একটু পরের দিকে দেখা যাবে গ্রহণ। চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে ৫.৫৮ মিনিট এবং শেষ হবে ৮.৪১ মিনিটে।
নিয়মাবলি
চন্দ্রগ্রহণ চলাকালীন বেশ কিছু নিয়ম মানেন মা-ঠাকুমারা। যেমন গ্রহণের সময় খেতে নেই। রান্নাও করতে নেই। অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুদের সাবধানে রাখতে বলেন অনেকেই। গর্ভবতী মহিলাদেরও এসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে দেখা যায়। সরাসরি গ্রহণ দেখতেও বারণ করেন অনেকে। এগুলি মূলত: সংস্কার হলেও অনেকের মতে গ্রহণ অতি অপয়া। তাই সেসময় বিশেষ সাবধানে থাকেন অনেকে।
বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিয়ো পেতে চ্যানেল হিন্দুস্তানের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channelhindustan
https://www.facebook.com/channelhindustan