১৭ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন নয়, ‘ফিরে এসো চাকা’ খ্যাত গণিতবিদ কবি বিনয় মজুমদারেরও জন্মদিন।
মোদির জন্মদিন বিজেপি দেশ জুড়ে পালন করলেও, স্বল্পখ্যাত, অভিমানী, স্বেচ্ছায় সরে থাকা এই মহান কবির আবির্ভাব রাজ্য সরকার কীভাবে পালন করবে, নিভৃতে না ঢাকঢোল পিটিয়ে তা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানেন। কিন্তু একুশের নির্বাচন পরবর্তী রাজ্য রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে ত়াঁর জন্মদিবস পালিত হচ্ছে একেবারে অন্যভাবে।
একুশের পদ্মবনের ঝড়ে তৃণমূলের যাঁরা ‘ঝড় নেমে আয়’ বলে গেরূয়া গৃহের দিকে ধাবিত হয়ে ছিলেন তাঁরা আবার ঘরে ফিরছেন।
এরই মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও পরবর্তীতে উত্তরপাড়া থেকে তৃণমূলের বিধায়ক ও একুশে উত্তরপাড়া থেকেই বিজেপির প্রার্থী প্রবীর ঘোষালের নামও শোনা যাচ্ছে এই ‘ঘরে ফেরার গান’ গাওয়াদের তালিকায়।
তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ব্যক্তিগত আড্ডায় তিনি বলেছেন, তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কোনদিন কোনো সমস্যা ছিল না। জেলা নেতৃত্বের একটি অংশের ওপর তিনি বিরক্ত ছিলেন।
তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের আরও দাবি, সেই সময় সে ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বকে জানালেও তৎক্ষণাৎ কোনো কাজ হয়নি। ঘোষালের অভিযোগের ফসল ফলেছে এখন।
সম্প্রতি হুগলির জেলা নেতৃত্বে বদল এনেছে তৃণমূল। ঘোষালের ঘনিষ্ঠ সূত্রের ইঙ্গিত যে সেদিকেই, তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে কোনো সন্দেহ নেই।
আগামী রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভ অনুষ্ঠান আছে সাংবাদিক-রাজনীতিকের। সেই নিয়েও আগ্রহ তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। তবে সেই অনুষ্ঠানে বর্তমান রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হবে না বলে চ্যানেল হিন্দুস্তান কে জানিয়েছেন ঘোষাল নিজেই। বলেছেন, “ওইদিন শুধু পুরনো দিনের কথা হবে।”
তবে পুরনো কথার মধ্যে কোনো নতুন কাহিনীর কোনো ইঙ্গিত থাকে কি না, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের নজর সেদিকে থাকবেই।
প্রেমের কবিতায় চাকা ফিরুক বা না ফিরুক, রাজনীতির দুনিয়ায় চাকা ফেরে!
একুশের নির্বাচন পরবর্তী রাজ্য রাজনীতির ছবি অন্ততঃ তেমনই বলছে।