নীল রায়
আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে তৃণমূলের ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার। সব ঠিকঠাক থাকলে ২৬ মার্চ কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তার হাতেই প্রকাশ পাবে দলের ইস্তেহার। হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি, অহমীয়া, অলচিকি সহ নানা আঞ্চলিক ভাষায় তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশিত হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের ভোট বৃদ্ধির কারণে এবার আঞ্চলিক ভাষাতে ইস্তেহার ছাপানোয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে জোড়া ফুলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। ১৯৯৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মমতার দল একাধিক নির্বাচনে লড়াই করলেও, এত বেশিসংখ্যক ভাষায় ইস্তেহার আগে কখনো ছাপানো হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, দুই পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিলিপিকে। প্রথম ভাগে থাকবে তৃণমূল জমানায় পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের কথা। দ্বিতীয় ভাগে থাকবে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে দেশের দুরাবস্থার বিস্তারিত তথ্য। যেখানে উল্লেখ করা হবে ডিমানিটাইজেশন ও জিএসটির ফলে ভারতীয় অর্থনীতির ভঙ্গুর দশার কথা। এছাড়াও থাকবে ধর্মের নামে বিভাজন ও গণপিটুনিতে মৃত্যু ঘটনা বেড়ে যাওয়ার উল্লেখ। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতায় এলে কি কি করা হবে, তার ফিরিস্তিও দেওয়া হবে ইস্তেহারে। তবে ইস্তেহারের একটি বিরাট অংশজুড়ে রাখা হচ্ছে,বিগত সাত আট বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান। সূত্রের খবর প্রথমে ঠিক হয়েছিল চলতি মাসের ২৫,২৬ ও ২৭ তারিখে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার লোকসভা এলাকায় চারটি জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই ঠিক ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২৬ মার্চ ইস্তেহার উদ্বোধনের কারণে আপাতত ওই প্রচারসূচি বাতিল করা হয়েছে। বদলে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ওই দুই লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার চালাবেন তিনি।